আরও এক প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি ফিরলেন কংগ্রেসে! ‘ত্রিবেণী’ সঙ্গমে কি ফিরবে সুদিন
আরও এক প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি ফিরলেন কংগ্রেসে! ‘ত্রিবেণী’ সঙ্গমে কি ফিরবে সুদিন
ত্রিপুরায় প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেতে তৎপর কংগ্রেস। একের পর এক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ফিরে আসছেন দলে। সুদীপ রায় বর্মন কংগ্রেসে আসার পর থেকেই ত্রিপুরায় ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। সুদীপের আসার পর তিন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির মিলতে চলেছেন একসঙ্গে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, কংগ্রেসের এই ত্রিবেণী সঙ্গমে ফিরতে পারে সুদিন।
তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরছেন বহু পুরনো সঙ্গী
ত্রিপুরায় উপনির্বাচন ২৩ জুন। চার কেন্দ্রে উপনির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে কংগ্রেস। কংগ্রেস চাইছে এই নির্বাচনে ভালো কিছু করে ২০২৩-এর যুদ্ধে নিজেদের শক্তির পরিচয় দিতে। সুদীপ রায় বর্মন ফিরে আসার পর থেকেই কংগ্রেসে জোয়ার এসেছে। তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরছেন বহু পুরনো সঙ্গী। উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণার মঞ্চেই দলে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি দুলাল দাস।
তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরছেন অনেক নেতা-নেত্রী
উপনির্বাচনের আগে ত্রিপুরায় দলবদল চলছে। এতদিন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ার হিড়িক পড়েছিল। অন্য দল থেকেও তৃণমূলে যোগ দিচ্ছিলেন নেতা-নেত্রীরা। কিন্তু এখন স্রোত উল্টো দিকে বইতে শুরু করেছে। তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরছেন অনেক নেতা-নেত্রী। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বনাম প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি দুলাল দাস। সুদীপ রায় বর্মনের হাত ধরে তিনি কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন।
কংগ্রেস আবার স্বমহিমায় ফিরতে চলেছে ত্রিপুরায়
আবার আর এক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মনের নয়া দল টিপ্রা মথার সঙ্গে কংগ্রেস অলিখিত জোট করতে চাইছে। অর্থাৎ তিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দল থেকে প্রাক্তন হয়েও এক জায়গায় আসতে চলেছেন। তাঁদের এই মিলিত হওয়ার ভাবনাকেই ভয় পাচ্ছে বিজেপি। কংগ্রেস আবার স্বমহিমায় ফিরতে চলেছে ত্রিপুরায়।
বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি তৃণমূলের
দুলাল দাস তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে বলেন, একমতা্র কংগ্রেস ছাড়া আর কোনও দলের দেশের মানুষকে বাঁচানোর ক্ষমতা নেই। আমি এ রাজ্যে জন্মলগ্ন থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস করেছি। যেদিন সুদীপবাবু প্রথম তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন, সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত আমি দলত্যাগ করিনি। তৃণমূলের উদ্দেশ্য মহৎ হলে, সেখানেই থাকতাম। কিন্তু তৃণমূলের উদ্দেশ্য মহৎ নয়। তারা বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি করছে।
সর্বত্রই একই অবস্থা হবে তৃণমূলের
সুদীপ রায় বর্মন বলেন, তৃণমূল গোয়ায় গিয়ে প্রার্থী দিয়ে ভোট কেটে বিজেপিকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে বড় ভূমিকা নিয়েছে। মণিপুরেও একই অবস্থান নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন আবার মেঘালয়েও কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল প্রধান বিরোধী দল হয়ে গিয়েছে। একইভাবে ২০১৬ সালেও ত্রিপুরায় কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল প্রধান বিরোধী দল হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনে খেই হারিয়ে ফেলে। সর্বত্রই এই অবস্থা হবে বলে মনে করছেন সুদীপ রায় বর্মনরা।
গোয়ায় এদের তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে
গোয়ায় এদের তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে, নির্বাচনের কিছুদিন আগে ওখানে প্রার্থী দিয়ে, ভোট কেটে বিজেপিকে পুনরায় ক্ষমতায় বসানোর একটা বিরাট বড় রোল প্লে করেছে তৃণমূল কংগ্রেস গোয়াতে, মণিপুরে।' ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'যারা বিজেপিকে পিছন থেকে, পরোক্ষে ইন্ধন দিতে চাইছেন, তারা অন্য কোনও দলে যোগ দিন, এতে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও ক্ষতি হবে না, আমরা ৪টে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি, আগামী দিনে ফলাফল প্রমাণ করবে ত্রিপুরার মাটিতে তৃণমূলই প্রধান শক্তি।'
কংগ্রেসের 'অক্সিজেনে’ কাঁপছে বিজেপি, মিশন ২৩-এর আগে উপনির্বাচন কার্যত সেমিফাইনাল