মোদী সরকারের 'শেষ' বাজেট আসলে ‘ভোটের ঘুষ’! সমালোচনায় সরব কংগ্রেস
লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষ বাজেট। সেই বাজেট যে জনমোহিনী হবে, তা-ই স্বাভাবিক। হলও তাই। কৃষক থেকে শ্রমিক, গরিব থেকে মধ্যবিত্তদের জন্য চমকপ্রদ ঘোষণা হল।
লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষ বাজেট। সেই বাজেট যে জনমোহিনী হবে, তা-ই স্বাভাবিক। হলও তাই। কৃষক থেকে শ্রমিক, গরিব থেকে মধ্যবিত্তদের জন্য চমকপ্রদ ঘোষণা হল। এই বাজেটকে 'ভোটের ঘুষ' বলে বর্ণনা করল কংগ্রেস। লোকসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাগড়ে থেকে সাংসদ শশী থারুর, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম একযোগে সমালোচনায় সরব হলেন।
|
সাংবিধানিক রীতির অবমাননা
পি চিদম্বরম বলেন, বলেন অন্তর্বর্তী বাজেট করা হল পূর্ণাঙ্গ বাজেটের আদলে। এটা একেবারেই সাংবিধানিক রীতির অবমাননা। ভোটের আগে ভোট অব অ্যাকাউন্ট হয়, কখনও পূর্ণাঙ্গ বাজেট হয় না। কিন্তু এই সরকার কার্যত তাই করল সংবিধানের রীতি-নীতিকে জলাঞ্জলি দিয়ে।
|
বাজেট বক্তৃতা যেন নির্বাচণী ভাষণ
চিদম্বরম বলেন, বাজেট বক্তৃতা যেন নির্বাচণী ভাষণ। লোকসভা ভোটের জন্যই যেন বাজেট করা হল। ভাষণ থেকে শুরু করে সংসদ কক্ষ হয়ে উঠল নির্বাচনী জনসভার মতোই। সংসদে বাজেট বক্তৃতা চলাকালীন যেভাবে মোদী মোদী চিৎকার হল, তা সংসদীয় রীতি-নীতির পরিচায়ক নয় বলেই ব্যাখ্যা করলেন বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাগড়ে।
কর্পোরেট বাঁচাতে গরিব মানুষকে ধোঁকা
চিদম্বরম বলেন, এই বাজেট কর্পোরেট বাঁচাতে গরিব মানুষকে ধোঁকা। দলিত-সংখ্যালঘুদের জন্য কিছুই নেই বাজেটে। তার বাইরেও যে সব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তা পূরণ করা দুঃসাধ্য হবে। গালভরা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণের কোনও দিশা নেই বাজেটে।
[আরও পড়ুন: ২০১৯ বাজেটে মহিলারা কী পেলেন! পীযূষ গোয়েল সংসদে যা জানালেন ]
|
‘জুমলা বাজেট’, দলের ইস্তাহার বলে কটাক্ষ
কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর ব্যাখ্যা করেন, এই বাজেট পেশ করে ভোটারদের ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। লোকসভার আগে আর কোনও পথ না থাকায়, ঘুষ দিয়ে কোনওরকমে ভোট বৈতরণী পার করার চেষ্টা করছেন নরেন্দ্র মোদী। লোকসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাগড়়ে এই বাজেটকে ‘জুমলা বাজেট' বলে কটাক্ষ করেন। এ যেন দলের ইস্তাহার।