ইভিএম ছেড়ে ব্যালটে ফিরতেই গোহারা বিজেপি, বিপুল জয়ে কংগ্রেস পেল অক্সিজেন
লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর কর্ণাটকের পুরসভা ও গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়াল কংগ্রেস। বিজেপিকে হারিয়ে কংগ্রেস বিরাট জয় পেল।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে। ভোটের পর কংগ্রেস সরাসরি ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ না করলেও, বিরোধীদের তরফে কেউ কেউ এই অভিযোগে সরব হয়েছে। এরই মধ্যে ব্যালটে ভোট হতেই কংগ্রেস বিপুল জয় পেল। যেখানে ইভিএমের ভোটে গোহারা হয়েছিল কংগ্রেস, ব্যালটে ভোট হতেই কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিল।
উল্টো ফলে রীতিমতো চাঞ্চল্য
কর্ণাটকের পুরসভা ও গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচনের এই উল্টো ফলে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কী কলে সম্ভব প্রায় একই সময়ে হওয়া দুই নির্বাচনের ফলে ব্যাপক এই তারতম্যের। তা নিয়েই কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিজেপিকে হারিয়ে কংগ্রেস কর্ণাটকে বিরাট জয় পেতেই নড়েচড়ে বসেছে বিরোধীরা।
ইভিএমে কারচুপি দাবি জোরদার
বিজেপি লোকসভা ভোটে যে পারফরম্যান্স করেছে, তারপর জেতার কথাই ভুলে যেতে বসেছিল কংগ্রেস বা অন্য কেউ। কিন্তু কর্ণাটকের শহর ও গ্রামাঞ্চলের স্থানীয় বডির নির্বাচনে কংগ্রেস ও জেডিএস যে ফল করেছে, সেই ফল বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। বিজেপির বিরুদ্ধে বারবার ইভিএমে কারচুপির যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা আরও জোরদার হবে এই নির্বাচনের পর।
কর্ণাটকে কংগ্রেসের বিপুল জয়
উল্লেখ্য কর্ণাটকের পুর ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেস ৫০৯টি ওয়ার্ডে দিতে বিজেপিকে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে। ৮টি শহরের কর্পোরেশন ৩৩টি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন, ২২টি নগর পঞ্চায়েত ও ২০২টি গ্রাম পঞ্চায়েত ভোট হয়। বেঙ্গালুরু আর্বান রিজিওনে কংগ্রেস ১৭টিতে জয়ী হয়েছে, সেখানে ১০টিতে জিতেছে বিজেপি। ১৩৬১ আসনের মধ্যে কংগ্রেস জেতে ৫০৯টি আসনে। লোকসভা নির্বাচনের বিজেপি যেখানে প্রায় ক্লিন সুইপ করেছিল, সেখানে গেরুয়া শিবির কংগ্রেসের তুলনায় অনেক পিছিয়ে। মাত্র ৩৬৬টি ওয়ার্ড জিততে পেরেছে তারা।
বিজেপির জেতা আসনেও অনায়াস জয়
অন্যদিকে জেডিএস পেয়েছে ১৭৪টি ওয়ার্ডে। আর নির্দল জয় পেয়েছে ১৬০টি ওয়ার্ড। মান্ড্যতে মুখ্যমন্ত্রীর এইচ ডি কুমারস্বামী ছেলে লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফল করেছিল। কিন্তু এই ভোটে ৬৯টি আসনের মধ্যে ৩২টিতে জিতেছে জেডিএস। কংগ্রেস জিতেছে ২৩টি আসনে। বিজেপি প্রায় ধুয়েমুছে সাফ।