বিজেপির সরকার বিচারবিভাগকে শাসাচ্ছে, প্রধান বিচারপতিকে রিজিজুর চিঠি প্রসঙ্গে কংগ্রেস
কেন্দ্রের বিজেপির সরকার এখন বিচারবিভাগকেও শাসাচ্ছে। নিজেদের আধিপত্য কাযেমের লক্ষ্যে বিচার বিভাগকে নির্দেশ দিচ্ছে সরকার। সম্প্রতি প্রধান বিচারপতিকে লেখা আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর চিঠি প্রসঙ্গে গর্জে উঠল কংগ্রেস।
কেন্দ্রের বিজেপির সরকার এখন বিচারবিভাগকেও শাসাচ্ছে। নিজেদের আধিপত্য কাযেমের লক্ষ্যে বিচার বিভাগকে নির্দেশ দিচ্ছে সরকার। সম্প্রতি প্রধান বিচারপতিকে লেখা আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর চিঠি প্রসঙ্গে গর্জে উঠল কংগ্রেস।
কংগ্রেস এই পরিপ্রেক্ষিতে দাবি করল, কলেজিয়ামের সংস্কার প্রয়োজন। কিন্তু এই সরকার যা চায়, তা হল বিচার বিভাগের পরাধীনতা। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এ প্রসঙ্গে গর্জে ওঠেন এবং কিরেণ রিজিজুর চিঠির সমালোচনা করেন।
আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্তির পরামর্শ গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি দেন। তারপরে কংগ্রেস সোমবার অভিযোগ করেছে, কেন্দ্রের সরকার আসলে বিচারবিভাগকেও ধমকে দিচ্ছে।
রিজিজু এ প্রসঙ্গে বলেন, এটি বিচারক নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনবে। জনসাধারণের বিচার ব্যবস্থারও সুবিধা হবে। এরপর কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ টুইট করেন, ভিপির হামলা, আইনমন্ত্রীর আক্রমণ- এসবই হল বিচারবিভাগকে ভীতি প্রদর্শনের অঙ্গ। বিচারবিভাগকে সম্পূর্ণরূপে কায়েম করার লক্ষ্য।
জয়রাম রমেশ বলেন, কলেজিয়ামের সংস্কার দরকার। কিন্তু এই সরকার যা চায়, তা হল সম্পূর্ণ আনুগত্য। এটা আসলে বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ রূপে শেষ করে দেওয়ার চক্রান্ত। প্রধান বিচারপতির কাছে এই চিঠি দেওয়ার পক্ষে আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু টুইট করে বলেন, মহামান্য প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠির বিষয়বস্তু সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এর সঙ্গে সুবিধাজনক রাজনীতির কোনও যোগসূত্র নেই। ভারতের সংবিধান সর্বোচ্চ এবং কেউ এর ঊর্ধ্বে নয়।
তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের কলেজিয়ামে তার প্রতিনিধিদের এবং রাজ্যগুলির অন্তর্ভুক্তির জন্য সরকারের দাবিটি ছিল জাতীয় বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কমিশন আইনকে প্রত্যাখ্যান করার সময় সুপ্রিম কোর্টে দ্বারা প্রস্তাবিত সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ। এর আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও বলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টকে কলেজিয়ামে মনোনীতদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সরকারের পদক্ষেপকে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেন। কেজরিওয়াল বলেন, আমি আশা করি আপনি আদালতের নির্দেশকে সম্মান করবেন। কোনও সরকারি হস্তক্ষেপ করবেন না। তা করা উচিতও নয়।
এর আগে গত নভেম্বরে আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেছিলেন, বিচার বিভাগীয় নিয়োগের কলেজিয়াম ব্যবস্থা সংবিধানের বিজাতীয়। উপরাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় এবং লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাও দাবি করেছেন যে বিচার বিভাগ আইনসভার ক্ষমতাকে হস্তক্ষেপ করছে।