আশঙ্কা বাড়ছে ২৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে, সংক্রমণের হার ছাপিয়ে গেল জাতীয় গড়কেও
আশঙ্কা বাড়ছে ২৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে, সংক্রমণের হার ছাপিয়ে গেল জাতীয় গড়কেও
আনলক ১.০-র হাত ধরে ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্যে করোনা প্রাদুর্ভাবের বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা গেছে। লকডাউনের শিথিল করার জেরে আগামীতেই এই সংক্রমণের হার আরও বাড়বে বলেই মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে একাধিক রাজ্যের সংক্রমণের হার জাতীয় গড়কেও ছাপিয়ে যাচ্ছে বলে খবর।
অসম, ত্রিপুরাতেও ক্রমেই বাড়ছে সংক্রমণ
অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশেও গত তিন দিনে ব্যাপক হারে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। পাশাপাশি অসম ও ত্রিপুরাতেও গত এক সপ্তাহ ধরে সংক্রমণের হার ১০ শতাংশেরও বেশি হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। একইসাথে গত কয়েকদিন দ্রুত হারে সংক্রমণ ছড়িয়েছে কর্ণাটকেও। বর্তমানে সংক্রমণের নিরিখে প্রথম দশটি রাজ্যের তালিকার মধ্যে জায়গাও করে নিয়েছে কর্নাটক।
জাতীয় সংক্রমণের হার ৪.৯৯ শতাংশ
এদিকে জম্মু ও কাশ্মীর ও হরিয়ানায় রবিবার অস্বাভাবিকভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে অনেকটাই বেড়ে গেছে। বর্তমানে কমপক্ষে ২৪ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে করোনা সংক্রমণ যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা জাতীয় গড়কেও ছাপিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। বর্তমানে গত সাতদিনের পর্যবেক্ষণের নিরিখে গোটা দেশে দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে দেশে করোনা সংক্রমণের হার ৪.৯৯ শতাংশ।
অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরাখণ্ড, ছত্তিসগড় ও কেরালার মতো রাজ্যে গুলিতেও প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে সংক্রমণের নিরিখে দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রের পরেই দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু এবং দিল্লি। যেখানে এখন প্রতিদিন ১৩০০ থেকে ১৫০০ জন নতুন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলছে।
খানিক স্বস্তিতে কয়েকটি রাজ্য
তবে, সর্বাধিক সংক্রামিত শীর্ষ পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে তিনটি রাজ্য, মহারাষ্ট্র, গুজরাট এবং রাজস্থানে নতুন আক্রান্তের সংখ্যায় খানিক হ্রাস পাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এই রাজ্য গুলির যৌথ সংক্রমণের হার জাতীয় গড়ের থেকে কম। পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশেও করোনা সংক্রমণের হার জাতীয় গড়ের থেকে বেশ কিছুটা কম।
উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের থেকে রোগ ছড়ানোর ঘটনা 'বিরল'! বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নয়া দাবি