ঘড়ি ধরে সকাল ন'টায় অফিস ঢুকুন, সরকারি কর্মীদের নির্দেশ বেঙ্কাইয়া নাইডুর
কাঁটায় কাঁটায় সকাল ন'টায় হাজিরা দিতে হবে অফিসে। বিকেল পাঁচটার আগে কেউ অফিস ছেড়ে যেতে পারবে না। কাজ ফেলে রাখলে কারও ছুটি মঞ্জুর হবে না। এই মর্মে কড়া নির্দেশ জারি করলেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু।
গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আচমকা নিজের মন্ত্রক পরিদর্শনে বেরোন তিনি। সকাল সাড়ে দশটায় এসে দেখেন, সিংহভাগ চেয়ারই ফাঁকা। সাধারণ কেরানি তো বটেই, সেকশন অফিসার, সুপারভাইজার প্রমুখরাও আসেননি। তৎক্ষণাৎ তিনি ডেকে পাঠান মন্ত্রকের এক যুগ্ম সচিবকে। কৈফিয়ত চান। তিনি আমতা আমতা করে মন্ত্রীকে বলেন, সকাল ন'টা হল রিপোর্টিং টাইম। অথচ কেউই বেলা এগারোটা-সাড়ে এগারোটার আগে আসেন না। আবার বিকেল চারটে বাজলেই ফাঁকা হয়ে যায় চেয়ার। সব শুনে মন্ত্রী নির্দেশ দেন, "জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিন। সোমবার থেকে সবাইকে ন'টায় ঢুকতে হবে। আমি নিজে আচমকা পরিদর্শনে আসব। যাকে চেয়ারে পাব না, তাঁর বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারও যদি ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কারণে আসতে দেরি হয়, তা হলে লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে সেটা জানাতে হবে।" তিনি ওই যুগ্ম সচিবকে আশ্বস্ত করেন, এ নিয়ে কর্মী ইউনিয়ন যদি চোখ রাঙায়, সরাসরি নোট পাঠিয়ে জানান। সেক্ষেত্রে কড়া হাতে সরকার এর মোকাবিলা করবে।
শুধু হাজিরাই নয়, সরকারি অফিসে সৌন্দর্যায়নে জোর দেন বেঙ্কাইয়া নাইডু। তিনি দেখেছেন, করিডর থেকে বৈদ্যুতিক তারের গোছা ঝুলে আছে ইতিউতি। দেওয়ালে ইউনিয়নের পোস্টার। মেঝে তেলচিটে। নির্দেশ দিয়েছেন, এক সপ্তাহে সব পরিষ্কার করে ফেলতে হবে, যাতে সরকারি অফিসে এসে মানুষের ভালো ধারণা হয়। যে ক্যান্টিন মন্ত্রকের কর্মীরা খান, তার অবস্থা দেখেও রেগে কাঁই তিনি। ভাঙা চেয়ার-টেবিল, রান্নাঘরের দেওয়াল তেল চিটচিটে। ক্যান্টিনের কর্মীদের বলেছেন, স্বাস্থ্য়সম্মত পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে অবিলম্বে। নইলে শাস্তি দেওয়া হবে।
পরে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, "শুধু নগরোন্নয়ন মন্ত্রক নয়, সব মন্ত্রক-দফতরে কর্পোরেট ধাঁচে পরিষ্কার-পরিছন্নতা বজায় রাখতে হবে। ভালো পরিবেশও ভালো কাজের একটা শর্ত। এটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশ। সব মন্ত্রীরা নিজেদের মন্ত্রকে এই বিষয়টি দেখবেন।"