‘আমি দেশদ্রোহী নই’ -মুচলেকা মাস্ট, সঙ্গে চাই শংসাপত্রও! কড়া নিদান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
এবার লিখে দিতে হবে- ‘আমি দেশদ্রোহী নই’। তবেই ভর্তির অনুমোদন পাবেন কাশ্মীরি পড়ুয়ারা। এমনই নিদান দিলেন পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার।
এবার লিখে দিতে হবে- 'আমি দেশদ্রোহী নই'। তবেই ভর্তির অনুমোদন পাবেন কাশ্মীরি পড়ুয়ারা। এমনই নিদান দিলেন পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার। বুধবার এক নির্দেশিকা জারি করে মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং বলেন, এবার কাশ্মীরি ছাত্রদের পঞ্জাবের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে গেলে মুচলেকা মাস্ট, সঙ্গে চাই শংসাপত্রও! সাফ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অশান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার অমরিন্দর সিং সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভর্তি হতে গেলে মুচলেকা লিখে দিতে হবে- 'আমি দেশবিরোধী নই, অপরাধমূলক কোনও কাজের সঙ্গেও জড়িত নই।' সেইসঙ্গে শংসাপত্রও লিখে আনতে হবে জেলা পুলিশের কাছ থেকে।
[আরও পড়ুন: ক্ষমাপ্রার্থী রাহুল, কলকাতার পুজোয় দূত হয়ে এলেন খুরশিদ, শোনালেন সভাপতির বার্তা ]
পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার জানিয়ে দিয়েছে, ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা সরকারি ও বেসরকারি সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ভর্তি হতে গেলে কী কী নিয়ম-নীতি মানতে হবে। অন্যথায় ভর্তি নেওয়া হবে না। পুলিশের তরফে লিখে দিতে হবে- ছাত্রটি দেশবিরোধী কোনও কাজে যুক্ত নয়।
এই সংক্রান্ত শংসাপত্রগুলি খতিয়ে দেখবে পঞ্জাব পুলিশ। তাতে আপত্তিজনক কিছু না মিললে তবেই ভর্তি নেওয়া হবে কাশ্মীরি ছাত্রকে। কোনও গরমিল দেখলে পত্রপাঠ বিদায় করে দেওয়ার নিদান দেওয়া হয়েছে। কেননা, কোনওরকম ঝুঁকি নিতে তাঁরা প্রস্তুত নন। উল্লেখ্য, পঞ্জাবে মোট ন-হাজার কাশ্মীরি ছাত্র পড়াশোনা করে। পঞ্জাব পুলিশের দাবি কাশ্মীরি ছাত্রদের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ মিলেছে। সেই কারণেই এই নয়া বিধি চালু করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি-টাকার দামে পতনের মধ্যেও আশার আলো! বাঁচিয়ে দিল মোদীর দূরদর্শিতা]
[আরও পড়ুন:জিএসটি চালুতে আখেরে লাভ হল কাদের, কীভাবেই বা লাভবান হলেন তারা, জেনে নিন ]