দফতর বন্টনে সাবধানী মুখ্যমন্ত্রী! স্বরাষ্ট্র-অর্থ নিজের কাছে রেখে কাকে কি দায়িত্ব দিলেন অশোক?
দফতর বন্টনে সাবধানী মুখ্যমন্ত্রী! স্বরাষ্ট্র-অর্থ নিজের কাছে রেখে কাকে কি দায়িত্ব দিলেন অশোক?
বছরখানেক পরেই রাজস্থানে নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই মন্ত্রিসভাতে বড়সড় রদবদল। রবিবার রাতেই মন্ত্রিসভার সমস্ত সদস্য পদত্যাগ করেন। হঠাত করে এই পদত্যাগের খবর সামনে আসতেই রীতিমত রাজ্য-রাজনীতিতে হইচই তৈরি হয়ে যায়। কি কারনে এই মন্ত্রিসভাতে সমস্ত সদস্যের ইস্তফা তা নিয়েও তৈরি হয় জল্পনা। যদিও পরে স্পষ্ট হয় গোটা পরিস্থিতি। তবে অশোক গেহলটের নয়া মন্ত্রিসভা তৈরি হলেও দফতর বন্টন ঘিরে তৈরি হয় নানা জটিলতা। তবে দীর্ঘ আলোচনার পর মন্ত্রীদের মধ্যে দফতর বন্টন করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
গৃহমন্ত্রক নিজের কাছেই রাখেন মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট দফতর বন্টনের ক্ষেত্রে অনেকটাই সাবধানী। নিজের কাছে স্বরাষ্ট্রদফতর এবং অর্থদফতর রাখেন। ডক্টর বিডি কল্লা রাজ্যের নয়া শিক্ষামন্ত্রী হতে চলেছেন। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক সবকিছুই তাঁর কাঁধেই থাকবে। বিডি কল্লা বিকানিরের বিধায়ক। এছাড়াও পরশাদী লাল সে রাজ্যের নয়া চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী দফতর থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। অশোক গেহলট অর্থমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র, জনসম্পর্ক, ক্যাবিনেট সচিবালয়। রাজ্য তদন্তকারী ব্যুরো সহ একাধিক দফতর নিজের হাতেই রেখেছেন।
১৫ জন মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন
গুরুত্বপূর্ণ হল এটাই যে রবিবার ১৫ জন বিধায়ক মন্ত্রীপদের জন্যে শপথ নিয়েছে। জার মধ্যে ১১ বিধায়ককে ক্যাবিনেট এবং চার বিধায়ক প্রতিমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন। মন্ত্রীপরিষদে এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে দাঁড়াল মন্ত্রিসভার সদস্য ৩০। মন্ত্রিসভাতে রদবদলের পর পুরানো মন্ত্রীদের তালিকাতে পরসাদী লাল মিনাকে স্বাস্থ্য সহ বেশ কয়েকটি দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতাপ সিংকে খাদ্য এবং নাগরিক পরিষেবা সংক্রান্ত দফতর দেওয়া হয়েছে। অশোক গেহলটের নয়া মন্ত্রিসভাতে বেশ কয়েকজন পুরানো মন্ত্রীও রয়েছেন। নতুন এবং পুরানো নিয়ে একেবারে নয়া মন্ত্রিসভা বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস বিধায়কের।
পাইলট ঘনিষ্ঠদের জায়গা!
মন্ত্রিসভাতে নতুন মন্ত্রীদের বিষয়ে তুলে ধরা হলে ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়া হেমরম চৌধুরীকে বন, মহেশ জোশীকে পিএইডি সহ একাধিক বিধায়ককে গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যদিও এর আগে উপ-মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটের সঙ্গেই বিশ্রেন্দ সিং এবং রমেশ মীনাকেও মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের ফের একবার মন্ত্রী করা হয়েছে।
বিদ্রোহ পাইলটের
গতবছরই হঠাৎ করে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন রাজস্থানের দাপুটে কংগ্রেস নেতা সচিন পাইটল। যাকে দলের ইয়ং ব্রিডেগ বলা হত। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বিজেপিতে যোগদানের পরেই সচিন পাইলটের বিদ্রোহী হয়ে ওঠাকে অনেকেই সহজ ভাবে দেখেননি। মনে করা হচ্ছিল সচিনও বোধ হয় বিজেিপতে যোগ দিতে চলেছেন। কিন্তু সেটা ঘটেনি। অশোক পাইলটের সঙ্গে চরম মতভেদের জেরেই তিনি বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন। সচিনকে ফের মন্ত্রিসভায় আনতে শেষে ময়দানে নামের রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। শেষ পর্যন্ত সচিন পাইলট গেহলটের মন্ত্রিসভায় যোগদিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু তাঁর বেশ কিছু শর্ত মেনে নিতে হয়েছিল রাহুলদের। মন্ত্রিসভাতে এই রদবদল সেদিকে তাকিয়েই! উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজনৈতিকমহল।