নববর্ষেই শুরুতেই কাটছে আতঙ্কের মেঘ! করোনা যুদ্ধে ছাড়পত্রের অপেক্ষায় ৭টি সম্ভাব্য প্রতিষেধক
নববর্ষেই শুরুতেই কাটছে আতঙ্কের মেঘ! করোনা যুদ্ধে ছাড়পত্রের অপেক্ষায় ৭টি সম্ভাব্য প্রতিষেধক
গত রবিবারই ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল ভিজি সোমানি-র তরফ থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার 'কোভিশিল্ড' ও ভারত বায়োটেকের 'কোভ্যাক্সিন'। যদিও এরপর থেকেই কোভ্যাক্সিন-এর ট্রায়াল নিয়ে সামনে এসেছে নানাবিধ অস্বচ্ছতা। আর তার জেরেই প্রায় ৩০ কোটি ভারতবাসীর টিকাকরণ এখন প্রশ্নের মুখে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে 'যুগান্তকারী মোড়' হিসেবে উল্লেখ করলেও প্রতিষেধকের প্রস্তুতি নিয়েই যখন ধোঁয়াশা, তখন এই ছাড়পত্রের অর্থ কী - এমন প্রশ্ন তুলছেন করোনাবিদরা। এদিকে করোনা যুদ্ধে ইতিমধ্যেই নতুন করে আশা যোগাচ্ছে আরও বেশ কিছু ভ্যাকসিন।
ছাড়পত্র পেলেও ট্রায়াল চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ
এদিকে ইতিমধ্যেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার 'কোভিশিল্ড' ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল ভারতে সম্পন্ন করেছে পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই)। ভারত বায়োটেকের 'কোভ্যাক্সিন' তৈরিতে সহায়তা করেছে পুনের জাতীয় ভাইরাসবিদ্যা সংস্থা ও আইসিএমআর। যদিও ছাড়পত্র পেলেও নবস্ট্রেন আসার কারণে চালিয়ে যেতে হবে ট্রায়াল, এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় ড্রাগ মানোন্নয়ন বিচারক পর্ষদ (ডিসিজিআই)-এর তরফে।
তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে জাইকোভি-ডি ও স্পুটনিক ভি
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সূত্রে খবর, সিরাম, ভারত বায়োটেকের পাশাপাশি জাইডাস ক্যাডিলার ডিএনএ-নির্ভর ভ্যাকসিন 'জাইকোভি-ডি' এখন তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, রাশিয়ার গ্যামিলিয়া ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিন 'স্পুটনিক ভি'-এর ২/৩ পর্যায়ের ট্রায়াল চালাচ্ছে ডঃ রেড্ডি'স ল্যাবরেটরি। জাইকোভি-ডি-এর ছাড়পত্র পাওয়ার পাশাপাশি এ বছর স্পুটনিক ভি-এর প্রায় ৩০ কোটি ডোজ তৈরি করা হতে পারে বলে খবর সূত্রের।
ভ্যাকসিন প্রস্তুতিতে নতুন দিশা দেখাচ্ছে ভারত
বর্তমানে ভ্যাকসিন প্রস্তুতির ক্ষেত্রে বিশ্বে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে ভারত। মার্কিন সংস্থা নোভাভ্যাক্স-এর সহযোগিতায় পুনের এসআইআইয়ের 'এনভিএক্স-সিওভি ২৩৭৩' তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে পৌঁছেছে। অন্যদিকে, আগামী এপ্রিলে মার্কিন সংস্থা ডাইনাভ্যাক্স-এর সঙ্গে যৌথভাবে করোনা প্রতিষেধকের শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল করতে চলেছে বায়োলজিক্যাল ই লিমিটেড। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান-প্রযুক্তি মন্ত্রকের সহায়তায় জানুয়ারির শেষেই 'এইচজিসিও১৯' ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করবে পুনের জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যালস।
ট্রায়াল পূর্ব-অবস্থায় রয়েছে অন্যান্য ভ্যাকসিন
'কোভ্যাক্সিন'-এর পাশাপাশি আমেরিকার থমাস জেফারসন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় আরও একটি করোনা ভ্যাকসিন প্রস্তুতির লক্ষ্যে এগোচ্ছে ভারত বায়োটেক। অন্যদিকে আমেরিকার প্রফেক্টস বায়োসায়েন্সেস-এর সহযোগিতায় আরভিএসভি-নির্ভর প্রতিষেধক প্রস্তুতির দিকে পদক্ষেপ নিচ্ছে অরবিন্দ ফার্মা ভ্যাকসিন। উক্ত দুই ভ্যাকসিনই ট্রায়াল-পূর্ব অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি ইউনিসেফের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার চিন্তাভাবনাও চালাচ্ছে অরবিন্দ ফার্মা ভ্যাকসিন।
অসম্পূর্ণ ট্রায়ালেও মিলল ছাড়পত্র! কোভ্যাক্সিন নিয়ে প্রশ্নের মুখে ভারত বায়োটেক