রাজ্যের ২১টি জেলায় বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা, আধা সেনা মোতায়েন উত্তরপ্রদেশ জুড়ে
রাজ্যের ২১টি জেলায় বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা, আধা সেনা মোতায়েন উত্তরপ্রদেশ জুড়ে
উত্তরপ্রদেশে শুক্রবারের নমাজ ঘিরে কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে। কোনওভাবে যেন শান্তি বিঘ্নিত না হয় সেদিকে নজর রেখেছে পুলিশ–প্রশাসন। প্রসঙ্গত, রাজ্য জুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে চলছে বিক্ষোভ–আন্দোলন।
পুলিশের ডিজিপি ওপি সিং জানিয়েছেন, ৩,৫০০ জন কেন্দ্রীয় আধা সেনা এবং ১২,০০০ জন জওয়ানকে গোটা রাজ্যে শান্তি বজায়ের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। আগাম সতর্কতার জন্য এক সপ্তাহ ব্যপী বন্ধ রাখা হবে ইন্টারনেট পরিষেবা। গাজিয়াবাদ, বুলন্দশহর, মিরুট, মুজফ্ফরনগর ও শামলিতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। আগ্রাতে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে ইন্টারনেট। ডিজিপি জানিয়েছেন, ৭৫টি জেলার ২১টিতে এই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। গোরখপুরে গত শুক্রবার যে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছিল, তার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তার জন্য পুলিশ স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে ফ্ল্যাগ মার্চ করে এবং সমস্ত জায়গায় ও পুলিশ স্টেশন এলাকায় শান্তি রক্ষা কমিটির সঙ্গে বৈঠকও করে। গোরখপুরের জেলা শাসক বিজেয়েন্দ্র পন্ডিয়ান জানিয়েছেন, আধা সেনা এবং জেলা পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি ড্রোন ক্যামেরাও ব্যবহার করা হচ্ছে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য। যদিও যারা গোটা রাজ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধীতা করার দোহাই দিয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে, সেরকম বিভিন্ন জেলার ৩৭২ জনকে নোটিস পাঠিয়েছে পুলিশ।
১,১১০ জনের ওপর মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং প্রতিরোধ আইনের আওতায় নেওয়া হয়েছে ৫,৫৫৮ জনকে। সিএএ–বিক্ষোভে এ রাজ্যে ১৯ জনের প্রাণ গিয়েছে। হিংসাত্মক বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগে পুলিশ ৩২৭টি এফআইআর করেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'সিএএ নিয়ে প্রশাসন মানুষকে শিক্ষা দিচ্ছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ওপরও নজরদারি চলছে।’ জানা গিয়েছে, ইন্টারনেট ও এসএমএস পরিষেবা সব মোবাইল পরিষেবাতেই বন্ধ করে রাখা হয়েছে। একমাত্র বিএসএনএল বাদ দিয়ে। লখনউতে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। অতিরিক্ত মুখ্য সচিব অবনীশ অওয়াস্তি ২৬ ডিসেম্বরই এ সংক্রান্ত ঘোষণা করেন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ইতিমধ্যেই বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট। বুলন্দশহরে ২৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে। অন্যদিকে আগ্রাতে শুক্রবার ছ’টা পর্যন্ত ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কথা রয়েছে। এর পাশাপাশি মথুরা, সীতাপুর, মুজফ্ফরনগর, ফিরোজাবাদ এবং সম্ভালে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। ২৮ ডিসেম্বর রাত পর্যন্ত বিজনোরেও ইন্টারনেট থাকবে না।
অনলাইনে কেনাকাটায় প্রতারণার শিকার অর্ধেকের বেশি ভারতীয়