ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের আগে শরিকি বিবাদ ভোগাতে পারে বিজেপিকে
নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের প্রত্যাশা মতো যে মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচন হয়নি তা ভোটের ফলাফল থেকেই খানিকটে স্পষ্ট।
নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের প্রত্যাশা মতো যে মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচন হয়নি তা ভোটের ফলাফল থেকেই খানিকটে স্পষ্ট। চলতি বছরেই লোকসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস পরে উভয় রাজ্যেই বেশ খানিকটা কোণঠাসা হতে হয়েছে বিজেপিকে। যার ফলে বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনও বিজেপিকে বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
ঝাড়খণ্ডেj ৮১ টি বিধানসভা আসনের জন্য ৩০ নভেম্বর থেকে ২০ শে ডিসেম্বরের মধ্যে মোট পাঁচ দফায় ভোট হতে চলেছে। গত কয়েক মাসে ক্রমাগত শক্তি ক্ষয়ের পর বর্তমানে ঝাড়খণ্ড নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।
২০১৯শের লোকসভা নির্বাচনে জয় লাভের পরও শক্তি ক্ষয় বিজেপির
নভেম্বর সালে ১৬টি রাজ্যে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী ছিল। সেখানে ২০১৯ সালে মোদীর নেতৃত্বে বিজেপির বিপুল জয়লাভের পর নতুন করে চারটি রাজ্যে শক্তি ক্ষয় হয় বিজেপির। বর্তমানে সাড়া দেশে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১২তে। বর্তমানে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন প্রসঙ্গে শরিক দল শিবসেনার সঙ্গে বিজেপির সংঘাত ঝাড়খণ্ড বিধানসভাতেও খানিকটা ছাপ ফেলতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের আগে শরিকি বিবাদ সমস্যায় ফেলতে পারে বিজেপিকে
ঝাড়খণ্ডেও বিজেপির শরিক দল অল ঝাড়খণ্ড সুডেন্টস ইউনিয়নও (এজেএসইউ) এখনও বিজেপির সঙ্গে আসন ভাগাভাগির ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিলমোহর দেয়নি। অন্যদিকে পদ্ম শিবিরের বিহারের শরিক দল এলজেপি বিজেপির সঙ্গে জোটের প্রস্তাব দিলেও বর্তমানে তারা নিজেরাই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অন্যদিকে, বিরোধী দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম), কংগ্রেস এবং আরজেডি বর্তমানে আসন ভাগাভাগির রাস্তায় হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। তাই কাগজেকলমে দেখতে গেলে ঝাড়খণ্ডে বিরোধী জোট বেশ শক্তিশালী বলেই মনে করা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেতাদের কিছু মতপার্থক্যও আসন্ন নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছ। ঝাড়খণ্ড সুডেন্টস ইউনিয়নের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে বিজেপির কিছু মত পার্থক্য দেখা দিলে বিজেপি নেতা রাধাকৃষ্ণ কিশোর বর্তমানে এজেএসইউয়ের পক্ষ নেওয়ায় তা নতুন করে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে মোদী-অমিত শাহদের।
আগামী এক দশকের মধ্যে দ্রুত অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধির ক্ষমতা রাখে ভারত, মন্তব্য বিল গেটসের