Click it and Unblock the Notifications
Just In
-
-
-
-
Don't Miss
-
নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল -
আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে উচ্ছ্বসিত তামান্না ও রশ্মিকা, পছন্দের ২ ক্রিকেটারেও পুরো মিল -
গ্রাহকদের জন্য সম্পূর্ণ নতুন ফিচার নিয়ে হাজির এয়ারটেল, কীভাবে কাজ করবে?
চিরাগের সঙ্গে কেন দূরত্ব বাড়াচ্ছে পদ্ম শিবির? সুপ্ত রাগ থেকেই কী গুপ্ত ঘাতকের ভূমিকায় জেডিইউ?
চিরাগের সঙ্গে কেন দূরত্ব বাড়াচ্ছে পদ্ম শিবির? সুপ্ত রাগ থেকেই কী গুপ্ত ঘাতকের ভূমিকায় জেডিইউ?
সোমবারের সকাল শুরু হতে না হতেই বিহারের রাজনৈতিক মানচিত্রে বড়সড় ধাক্কা খেল চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি। চিরাগের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসেন দলের ৬ সাংসদের ৫ জনই। আর এমনকী ইতিমধ্যেই লোকসভায় এলজেপির প্রধান নেতাও নির্বাচিত হয়েছেন এলজেপি প্রতিষ্ঠাতা তথা রামবিলাস পাসওয়ানের ভাই পশুপতি কুমার পারস। এদিকে গোটা কর্মকাণ্ডের পিছনে জেডিইউ-র গুপ্ত আঘাত রয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
দূরত্ব বাড়ছে পদ্ম শিবিরের সঙ্গেও
অন্যদিকে সাত মাস আগে মিটে যাওয়া বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির সঙ্গে সখ্যতা বজায় রাখলেও নীতীশের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিলেন চিরাগ। বর্তমানে তাঁকে তারই খেসারত দিতে হচ্ছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। চিরাগ তোপ দাগলেও করলে যদিও তাঁর কাকা পশুপতিকে আবার অতীতে একাধিকবার নীতিশের প্রশংসা করেছেন। এমনকী বর্তমানে নীতীশ-পশুপতি সখ্যতার রাস্তাতেই চিরাগকে কোণঠাসা করা সম্ভব হয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
গুপ্ত ঘাতকের ভূমিকায় নীতীশ শিবির
যদিও চিরাগ শিবির জেডিইউ-র বিরুদ্ধে গুপ্ত ঘাতকের ভূমিকা নেওয়ার অভিযোগ তুললেও নীতীশের দল সেসবই অস্বীকার করেছে। তবে জেডিইউ সাফ জানিয়েছে যে তাদের এই ভাঙনে কোনও ভূমিকা নেই, এদিকে বর্তমানে বিজেপিও পাসওয়ানের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছে। আর সেখানেই ঘনাচ্ছে রহস্য। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে সাড়া জাগিয়েও কার্যত ধরাশায়ী হয়েছিল এলজেপি।
ভাঙনে পথ কী ভাবে প্রশস্ত করল ডেডিইউ ?
নির্বাচনের পরই এলজেপি-র একমাত্র বিধায়ক রাজু সিং-কে জেডিইউ দলে নিয়ে নিয়েছিল। আর তাতেই বেশ খানিকটা কোমড় ভেঙে যায় চিরাগ শিবিরের। সূত্রের খবর, জেডিইউ নেতা রাজীব রঞ্জন সিং ও বিহার বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার মাহেশ্বরী হাজারি এলজেপি-র এই ভাঙনে ভূমিকা নিয়েছেন।অন্যদিকে, পদ্ম শিবির থেকে যারা আগে চিরাগ পাসওয়ানকে সমর্থন করেছে, তারাও ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে।
ঠিক কী কারণে কোণঠাসা হয়ে গেলেন চিরাগ ?
এলজেপি সূত্রে খবর, নির্বাচনের সময় গোটা রাজ্য ঘুরে সকল দলীয় কর্মীর সমস্যা শোনার প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচন মিটতেই দলীয় কর্মীদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন চিরাগ। এমনকী ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়ে দল চালাতেও ক্রমণ ব্যর্থ হচ্ছিলেন তিনি। আর সেই সুযোগকেই কাজে লাগান তাঁর কাকা পশুপতি। এদিকে সাংসদ, বিধায়কের বিদ্রোহের রেশ ধরে কর্মীরাও সারি বেঁধে চিরাগের বিরুদ্ধে 'জেহাদ' ঘোষণা করতে চলেছেন বলে খবর।
