মস্কোয় নিজেদের নিরীহ প্রমাণে মরিয়া বেজিং, লাদাখের দায় ভারতের, দাবি চিনের
মস্কোয় নিজেদের নিরীহ প্রমাণে মরিয়া বেজিং, লাদাখের দায় ভারতের, দাবি চিনের
মস্কোয় আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের মরিয়া প্রমাণে তৎপর বেজিং। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ িসংকে প্রকাশ্যে চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী উই ফেঙ্গে বলেেছন, লাদাখ সীমান্তে এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী একমাত্র ভারত। লাদাখ সীমান্তে বারবার যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দুই দেশের মধ্যে তাতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আঘাত এনেছে। এর জন্য সম্পূর্ণ ভাবে দায়ী ভারত।
দায়ী ভারত
লাদাখ সীমান্তে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার জন্য দায়ী ভারত। পাল্টা চাপ তৈরি করছে বেজিং। মস্কোয় আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রকাশ্যেই লাদাখ পরিস্থিতির জন্য ভারতকে দায়ী করেছে বেজিং। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে চিনের বিদেশমন্ত্রী উই ফেঙ্গে সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের শীর্ষ আধিকারিকদের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে সরাসরি ভারতকে দায়ী করেছেন তিনি। বেজিংয়ের দাবি লাদাখে লালফৌজে অবস্থান নিয়ে যথেষ্ট পরিষ্কার। এর জন্য দায়ী একমাত্র ভারত।
মস্কোয় মুখোমুখি লাদাখ চিন
লাদাখে যখন উত্তেজনা চরমে। লালফৌজ রক্তচক্ষু দেখিয়ে চলেছে। ঠিক তখনই মস্কোয় আন্তর্জাতিক মঞ্চে মুখোমুখি হল ভারত এবং চিনের প্রতিনিধিরা। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের আবেদন জানিয়েছিলেন চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সেই আবেদনে সাড়া দেয় ভারতও। তারপরেই মস্কোয় উচ্চ এই হাইভোল্টেজ বৈঠক হয়।
ভারতকে বার্তা চিনের
চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেই বৈঠকে লাদাখ পরিস্থিতির জন্য ভারতকে দায়ী করে বলেছেন, চিন এক ইঞ্চি জমি ছাড়বে না। চিনের সেনা বাহিনী নিজের দেশের সার্বভৌমত্ব এবং সীমান্ত রক্ষায় যথেষ্ট দক্ষ এবং পারদর্শী। গালওয়াল উপত্যকায় ভারতের যে ২০ জন জওয়ান মারা গিয়েছেন তার জন্য দায়ী একমাত্র ভারত। চিনা ফৌজেরও অনেক জওয়ান শহিদ হয়েছেন এই সংঘর্ষে।
ভারতের বার্তা
চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বার্তার পর ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখাই এখন দুই দেশের প্রাথমিক দায়িত্ব হওয়া উচিত। আলোচনার পথেই একমাত্র সেই সমাধান সম্ভব। ভারত আলোচনার জন্য সব পথ খোলা রেখেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।