ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জাপানের লগ্নির বিরোধিতায় চিন
ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগের বিরোধিতা করল চিন। শুক্রবার প্রকাশিত বয়ানে জাপানসহ অন্য দেশগুলির বিনিয়োগের বিরোধিতা করা হয়েছে
ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগের বিরোধিতা করল চিন। শুক্রবার প্রকাশিত বয়ানে জাপানসহ অন্য দেশগুলির বিনিয়োগের বিরোধিতা করা হয়েছে। একইসঙ্গে সীমান্ত সমস্যা সমাধানে তৃতীয় পক্ষের উপস্থিতিরও বিরোধিতা করা হয়েছে চিনের তরফে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ভারত সফর কালে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর কথা জানিয়েছিলেন তিনি। এরই প্রেক্ষিতে চিনের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র 'বিতর্কিত জায়গা'য় বিদেশি বিনিয়োগের বিরোধিতা করেছেন।
একইসঙ্গে ভারতের 'অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি'র বিরোধিতা করা হয়েছে। ভারতের পূর্বের অংশের সঙ্গে তাদের দেশের সীমান্ত সমস্যা রয়েছে বলে শুক্রবার চিনের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
দুপক্ষেরই
গ্রহণযোগ্য
উপায়ে
আলোচনার
মাধ্য়মে
সমস্যার
সমাধানের
চেষ্টা
চলছে
বলে
জানিয়েছেন
চিনের
বিদেশ
দফতরের
মুখপাত্র।
সব
পক্ষকেই
এই
উদ্যোগকে
স্বাগত
জানানো
উচিৎ
এবং
কোনও
তৃতীয়
পক্ষেরই
এরমধ্যে
যুক্ত
থাকা
উচিৎ
নয়,
বলে
মন্তব্য
করা
হয়েছে
চিনের
বিদেশ
দফতরের
তরফে।
দীর্ঘদিন
ধরেই
অরুণাচলপ্রদেশকে
দক্ষিণ
তিব্বতের
অংশ
বলে
দাবি
করে
আসছে
চিন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকে চিন খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছে চিনের বিদেশ দফতরের মুখপত্র। ভারত ও জাপান, দুদেশের যৌথ বিবৃতিতে কোথাও চিনের নাম য়ে উল্লেখ নেই সেকথাও জানিয়েছে চিনের বিদেশ দফতর। আলোচনার মাধ্যমেই ইন্দো-প্যাসিফিক এরিয়ায় বিরোধের সমাধানের যে কথা যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সে কথাও তুলে ধরেছে চিনের বিদেশ দফতর।
পূর্ব চিন সাগরে সেনকাকুস এবং ডিয়াউু দ্বীপ নিয়ে চিন ও জাপান, দুই দেশেরই বিরোধ রয়েছে। সেখানে দুদেশের নৌবাহিনী টহল দিচ্ছে।
ভারত ও জাপান দুদেশই এশিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ। ফলে তাদের মধ্যেকার সম্পর্ক আঞ্চলিক শান্তি ও স্থায়িত্বের পক্ষে সহায়ক হবে বলেও মন্তব্য করেছে চিনের বিদেশ দফতর।