বাড়ছে গাড়ির ভিড়, শিলিগুড়ি করিডরের অদূরে কী এমন করছে চিন? প্রকাশ্যে satellite image
ভারতের আশপাশে চিনের ঘোরাফেরা নতুন নয়। লাদাখ বা অরুণাচলের কাছে আগেও চিনা ফৌজের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। সম্প্রতি তাওয়াং-এর কাছে সংঘাতের খবরে যখন তোলপাড় দেশ, তখন খবর পাওয়া যাচ্ছে চিন নাকি তাদের মডেল গ্রাম ক্রমশ এগিয়ে আ
ভারতের আশপাশে চিনের ঘোরাফেরা নতুন নয়। লাদাখ বা অরুণাচলের কাছে আগেও চিনা ফৌজের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। সম্প্রতি তাওয়াং-এর কাছে সংঘাতের খবরে যখন তোলপাড় দেশ, তখন খবর পাওয়া যাচ্ছে চিন নাকি তাদের মডেল গ্রাম ক্রমশ এগিয়ে আনছে ভারতের সীমান্তের দিকে।
উত্তরাখণ্ড, সিকিম, অরুণাচর প্রদেশ, চুম্বি ভ্যালির উল্টো দিকেই সেই গ্রাম তৈরি হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিন যে তাদের কার্যকলাপ ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছে, সেটাই প্রমাণ হল আরও একবার। শিলিগুড়ি করিডরের কাছেও কার্যকলাপ ক্রমশ প্রকট হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
জানা যাচ্ছে, জিয়াওকাং গ্রাম নামে ওই গ্রাম আগেই তৈরি হয়েছিল। এবার দুটি ভাগে বিভক্ত করে আরও একটি গ্রাম তৈরি হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। একটি অংশে চিনা গাড়ির উপস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে, দখলদারির চেষ্টা করতে পারে চিন। আর একদিকেও একে একে গাড়ির ভিড় বাড়ছে। স্যাটেলাইট ইমেজ অন্তত সে কথাই বলছে। বাম লা থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে সম্প্রতি এলাকা পরিষ্কার করা কাজও চোখে পড়েছে।
উত্তরাখণ্ডের কাছেই একই রকম কার্যকলাপ দেখা গিয়েছে। এলএসি থেকে মাত্র ১১ কিমি দূরে চোখে পড়ছে চিনের উপস্থিতি। সেখানেও আরও একটি মডেল গ্রাম রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইস্টার্ন আর্মি কমান্ডার লেফট্যানেন্ট জেনারেল আরপি কলিতা অবশ্য এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, নর্দার্ন ফ্রন্টিয়ারের সীমান্তবর্তী এলাকা নিরাপদে ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আরও জানা গিয়েছে পাংটা এয়ারফিল্ডের কাছে একাধিক টানেল তৈরি করতে দেখা গিয়েছে চিনকে। মনে করা হচ্ছে সেখানে রেল লাইন রয়েছে চিনের। অরুণাচল থেকে ১৭১ কিলোমিটার দূরে রয়েছে সেটি। এছাড়া সুবানসিরি এলাকায় একাধিক রাস্তাও তৈরি করছে চিন। এছাড়াও সূত্রের খবর, বিস্ফোরণে কোনও ক্ষতি না হয়, এমন সব দেওয়াল বানাচ্ছে চিন। সেগুলোও খুব দূরে নয়, এলএসি থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে।
২০২১ সালের নভেম্বর মাসে, যখন ইস্টার্ন কমান্ডের দায়িত্বে ছিলেন বর্তমান সেনাপ্রধান মনোজ পান্ডে, তখন তিনিও বলেছিলেন শিলিগুড়ি করিডর খুবই স্পর্শকাতর এলাকা। চুম্বি ভ্যালি থেকে এর দূরত্ব বেশি না হওয়ায় সবসময়েই ঝুঁকি থেকে যায়। বাংলাদেশ, নেপাল ও ভূটারে সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত এই করিডর।
উল্লেখ্য, তাওয়াং-এর কাছে সম্প্রতি মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও চিনের সেনা। এরপর উত্তরবঙ্গের হাসিমারা বায়ুসেনা ঘাঁটিতেও তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে অনেকটাই। এমনকি সীমান্ত বর্তী এলাকাতেও সেনা তৎপরতা বেড়েছে বলেই খবর।