করোনাকালে দেশজুড়ে নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে শিশুপাচার, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দিল্লি
করোনাকালে দেশজুড়ে নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে শিশুপাচার, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দিল্লি
করোনাকালে লকডাউনের জেরে গোটা দেশেই মানবপাচারের পরিমাণ বহুলাংশে বেড়েছে বলে একাধিক সমীক্ষায় গেছে। পাশাপাশি বর্তমানে সত্যার্থী শিশু ফাউন্ডেশনের একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে এই মুহূর্তে গোটা দেশের ৮৯ শতাংশ এনজিও লকডাউন পরবর্তী কারণে শিশু পাচার বাড়ার আশঙ্কা করছে। আর্থিক মন্দার কারণেই এই অবস্থা তৈরি হচ্ছে বলে মত তাদের।
কোন কোন কাজে লাগানো হচ্ছে পাচার হওয়া শিশুদের ?
যৌনপেশায় নামানোর জন্য হোক বা ভিক্ষাবৃত্তি, বন্ডেড লেবার সহ একাধিক পেশার জন্য গোটা দেশেই বর্তমানে শিশু পাচারের পরিমাণ অনেকটা বেড়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। মেয়েদের পাশাপাশি বিপদ বেড়েছে ছেলেদেরও। লকডাউন পরবর্তী সময়ে দ্রারিদ্র সীমার নীচে চলে যাওয়া পরিবার ও তীব্র অর্থ কষ্টে থাকা পরিবার গুলির শিশুদের একটা বড় অংশ বন্ডেড লেবার হিসাবে অন্যত্র পাচার হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহেই অভিযানে নামে ডিসিপিসিআর
এদিকে গত সপ্তাহে, দিল্লি কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস (ডিসিপিসিআর) উত্তর পূর্ব দিল্লির মুস্তাফাবাদে বেশ কয়েকটি বর্জ্য বাছাইয়ের দোকানে কর্মরত নয় শিশু শ্রমিককে উদ্ধার করেছে বলে জানা যাচ্ছে। করোনা মহামারীর মাঝেই দিল্লিতে ডিসিপিসিআর-র এটা চতুর্থ অভিযান বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এই উদ্ধার কাজের সময় ওই এলাকা থেকে ৩০ জন শিশু পালিয়ে যায় বলেও জানা যাচ্ছে।
দিল্লিতে বাড়ছে শিশু পাচারের সংখ্যা
নাবালক পাচারের ক্ষেত্রে গোটা দেশের মধ্যে দিল্লি ও সংলগ্ন অঞ্চল অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, সহজে পাচারের জন্য পাচারকারীরা প্রায়শই নতুন চাকরীর মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, আরও ভাল আয়, উন্নত জীবনযাপনের লোভ দেখাচ্ছে শিশু গুলির পরিবার গুলিকে। যে ফাঁদে পা দিয়ে নিজেদের সন্তানকেও শেষ পর্যন্ত খোয়াচ্ছেন হত দরিদ্র পরিবার গুলি।
২০ বছরের মধ্যে প্রথমবার ব্যাপক হারে বাড়তে চলেছে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা
এদিকে গত জুন মাসে প্রকাশিত ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন(আইএলও) এবং ইউনিসেফের যৌথ রিপোর্টে শিশু শ্রমের বিষয়ে যথেষ্ট উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ করা হয়। 'কোভিড-১৯ অ্যান্ড চাইল্ড লেবার : এ টাইম অফ ক্রাইসিস, এ টাইম টু অ্যাক্ট' শীর্ষক ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনার কারণেই গত ২০ বছরের মধ্যে প্রথমবার গোটা বিশ্বেই শিশু শ্রমিকদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। একইসাথে বিশ্বজুড়ে শিশুদের দীর্ঘ অপুষ্টিতে ভোগার সম্ভাবনা বাড়ছে বলে জানা যাচ্ছে জাতিসংঘের রিপোর্টেও। অন্যদিকে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের অপর একটি রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে চলতি বছরেই করোনার জেরে গোটা বিশ্বজুড়ে নতুন করে ১০ লক্ষ নতুন শিশু শ্রমিকের জন্ম হতে চলেছে।
'৫ তারিখ কেন লকডাউন! রামকে নিয়ে রাজনীতি করবেন না', মমতাকে বার্তা দিলীপের