করাচিতে গোপনে পরমাণু মিসাইলের সরঞ্জাম পৌঁছে দিচ্ছিল চিন! তুমুল চাঞ্চল্য নয়া রিপোর্টে
গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে গত ৩ ফেব্রুয়ারি চিনের একটি জাহাজকে গুজরাতের কান্দলা বন্দরে আটক করে ভারত। আর সেই জাহাজ থেকে উদ্ধার হওয়া জিনিসপত্র ঘিরে যে তথ্য উঠে আসছে তা কোনও হাড়হিম করা থ্রিলারের গল্পের থেকে কম নয়। গোয়েন্দাদের প্রাথমিক সন্দেহ চিনের ওই জাহাজ চিন থেকে পাকিস্তানে পরমাণু সংক্রান্ত একটি মেশিন পাচার করছিল। আর তা ঘিরেই একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে।
পাকিস্তানে কীসের প্রস্তুতি !
চিনের ওই জাহাজে ড্রায়ার তথা অটোক্লেভ পাওয়া গিয়েছে। যে মেশিনের সাহায্যে পরমাণু মিসাইল তথা স্যাটেলাইট মিসাইল তথা স্যাটেলাইট লঞ্চ রকেট তৈরি করা যেতে পারে। কিম্বা মিসাইলের ক্ষেত্রেও এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। গুজরাতের কান্দলা বিমানবন্দরে ধৃত এই জাহাজ নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছিল গত ৩ ফেব্রুয়ারিই। আর এবার অটোক্লেভ মেশিন উদ্ধার হওয়ায় পাকিস্তান ও চিনের আরও বড় ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব ঘিরে সন্দেহ দানা বাঁধছে।
কেন সন্দেহ চিনের জাহাজকে নিয়ে?
চিনের জাহাজ দাই কুই উন চিন থেকে বেরিয়ে পাকিস্তানের করাচি বন্দর পর্যন্ত যাচ্ছিল। আর তার জেরেই সমস্যা আরও দানা বাঁধতে শুরু করে। এদিকে, এমন জাহাজ সম্পর্কে ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য আসতেই জাহাজকে বাজেয়াপ্ত করে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। এরপরই শুরু হয় তল্লাশি ও তদন্ত। সন্দেহ করা হচ্ছে পাকিস্তানের কোনও পরমাণু শক্তি সংক্রান্ত মিশনের জেরেই চিনের এই 'সাহায্যের' জাহাজ এগিয়ে যাচ্ছিল।
উদ্ধার হওয়া অটোক্লেভ কতটা ধ্বংসাত্মক?
DRDO সূত্রের দাবি, যে অটোক্লেভ বাজেয়াপ্ত হয়েছে জাহাজ থেকে , সেই অটোক্লেভের ১,৫০০ কিলোমিটার রেঞ্জে একটি মিসাইলকে আছড়ে ফেলার ক্ষমতা রয়েছে। এক্ষেত্রে পাকিস্তানের তরফে শাহিন ২ এর প্রস্তুতি ও গত মে মাসে তার পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ নজর থেকে বাইরে রাখছে না ভারত। উল্লেখ্য, শাহিনেরও ১৫,০০-২০০০ কিলোমিটার দূরে মিসাইল নিক্ষেপ করার ক্ষমতা রয়েছে।
পাকিস্তান ও পরমণাবিক শক্তি
একটা সময় পাকিস্তানকে এম ১১ ও এম ৯ মিসাইল নিয়ে সাহায্য করেছিল, উত্তর কোরিয়া ও চিন। আর এই দুই মিসাইলের সাহায্যে পাকিস্তানে পরমাণু শক্তি আরও বেশি বিস্তার লাভ করেছিল। ১৯৮০ সাল থেকে পাকিস্তানকে যে চিন সাহায্য করছিল তা আরও প্রমাণ মিলেছে বেজিং-এর নক্সায় তৈরি পাকিস্তানের পরমাণু বোমা ঘিরে।
পরমাণু শক্তি ও চিন-ভারত সম্পর্ক
পারমাণবিক শক্তিতে যাতে চিনের পিছনেই ভারত থেকে যায়, তার জন্য দিল্লিকে ঠেকাবার একাধিক চেষ্টা করে চলেছে বেজিং। এই কারণেই নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপে ভারতের পা রাখার জায়গা টি আটকে দেয় চিন। যতক্ষণ না পাকিস্তান এই গ্রিপে পা রাখতে পারছে, ততক্ষণ ভারত যাতে এই গ্রুপে পা না রাখে তার চেষ্টায় রয়েছে চিন। আর এমন প্রেক্ষাপটে এই অটোক্লেভ বাজেয়াপ্তের মতো ঘটনা নিঃসন্দেহে বড় বিষয়।