কলেজে ইউনিফর্ম থাকলে পরতেই হবে, হিজাব মামলায় নির্দেশ হাইকোর্টের
শিক্ষাক্ষেত্রে নির্ধারিত পোশাক বা ইউনিফর্ম পরা বাধ্যতামূলক। হিজাব মামলায় সাফ জানালেন কর্নাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্তি। কর্নাটকে হিজাব নিয়ে যে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে, সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছে কর্ন
শিক্ষাক্ষেত্রে নির্ধারিত পোশাক বা ইউনিফর্ম পরা বাধ্যতামূলক। হিজাব মামলায় সাফ জানালেন কর্নাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্তি। কর্নাটকে হিজাব নিয়ে যে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে, সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছে কর্নাটক হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে।
সেই শুনানি চলাকালীন বুধবার বিচারপতি বলেন, নির্দেশ খুব স্পষ্ট। যদি ইউনিফর্ম থাকে, তাহলে সেটা মেনে চলা উচিৎ। সরকারি বা বেসরকারি উভয় কলেজের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
শিক্ষিকা হিজাব খুলতে বাধ্য় নন--
এই মামলায় এ দিন এক আইনজীবী জানান, এক শিক্ষিকাকে হিজাব খুলতে বাধ্য করা হয়েছে। এ কথা শুনে বিচারপতি বলেন, এই নির্দেশ শুধুমাত্র কলেজের পড়ুয়াদের জন্য। এই মামলা চলাকালীন বিচারপতি জানিয়েছেন, মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কলেজে কোনও ধর্মীয় পোশাক পরা চলবে না।
সেই নির্দেশই মানতে বলা হয়েছে এ দিন। সম্প্রতি কর্নাটকে অভিযোগ উঠেছে, একটি বেসরকারি কলেজের লেকচারারকে বলা হয়েছে যাতে তিনি হিজাব পরে কলেজে না আসেন। এরপরই চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
কারা এই ক্যাম্পাস ফর ইন্ডিয়া---
এ দিন অপর এক মামলাকারীর আইনজীবী এসএস নাগানন্দ জানান, ক্যাম্পাস ফর ইন্ডিয়া নামে এক সংগঠনই হিজাব বিতর্ক শুরু করেছে। তাঁর দাবি, এই ক্যাম্পাস ফর ইন্ডিয়া কোনও শিক্ষামূলক সংগঠন নয়। আইনজীবী জানান, পড়ুয়াদের হিজাব না পরার বিষয়ে বলেছেন ওই সংগঠনের সদস্যরাই।
আগেই অবস্থান স্পষ্ট করেছে কর্নাটক সরকার---
শুনানিতে বারবার প্রশ্ন উঠেছে, হিজাব পরা ইসলামে জরুরি কি না। কর্নাটক সরকারের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, সরকারের অবস্থান হল, হিজাব পরা ইসলাম ধর্মে জরুরি নয়। পাশাপাশি কর্নাটক সরকারের দাবি, হিজাব পরতে বাধা দিলে সংবিধানের ১৯ তম অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করা হয় না, আর সেই ১৯ তম অনুচ্ছেদ মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে।
বৃহত্তর বেঞ্চে চলছে শুনানি---
মাস খানেক আগে হিজাব বিতর্কের সূত্রপাত হয়। কর্নাটকের উদুপির একটি কলেজে হিজাব পরে আসায় ছয় পড়ুয়াকে ক্লাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এরপর সেই জেলার পরপর চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একই ঘটনা ঘটে, হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করে, হিজাব ছাড়া কলেজে আসলে তবেই ক্লাস করতে দেওয়া হবে। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। মামলা হয় আদালতে। প্রথমে ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়। পরে সাংবিধানিক প্রশ্ন থাকায় মামলা পাঠানো হয় বৃহত্তর বেঞ্চে।