কেন লখিমপুরে যেতে দেওয়া যাবে না, লখনউ বিমানবন্দরে পুলিশের সামনে মেঝেতে বসে ধরনা মুখ্যমন্ত্রীর
কেন লখিমপুরে যেতে দেওয়া যাবে না, লখনউ বিমানবন্দরে পুলিশের সামনে মেঝেতে বসে ধরনা মুখ্যমন্ত্রীর
লখনউ বিমানবন্দর থেকে বেরোতে দিতে নারাজ উত্তর প্রদেশ পুলিশ।প্রতিবাদে বিমানবন্দরের মেঝেই ধরনায় বসলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। গতকাল তাঁর বিমান লখনউ বিমানবন্দরে অবতরণ করতে না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল যোগীর সরকার। লখিমপুরে আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে দাঁড়ােত যাচ্ছিলেন তিনি। গতপরশু ৮ কৃষককে গাড়িতে পিষে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তারপর থেকে উত্তাল লখিমপুর।
বিমানবন্দরে ধরনায় ভূপেশ বাঘেল
কোনও রকমে বিমান অবতরণ করলেও ভূপেশ লখনউ বিমানবন্দরের বাইরে বেরোতে দিচ্ছে না পুলিশ। তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে বিমানবন্দরের মধ্যেই। তারই প্রতিবাদে ভূপেশ বাঘেল বিমানবন্দরের মেঝেতে বসে ধরনা দিতে শুরু করেছেন। লখিমপুর যাওয়ার কথা ছিল ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর। গতকালই তাঁর বিমান অবতরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল উত্তর প্রদেশ সরকার। মঙ্গলবার বিমান অবতরণ করলেও তাঁকে বিমানবন্দর থেকে বেরোতে দেওয়া হয়নি।
গ্রেফতার প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
লখিমপুর খেরায় যেতে চাওয়ায় গ্রেফতার করা হয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেও। গতকাল থেকেই সীতাপুরের একটি গেস্ট হাউসে তাঁেক আটক করে রাখা হয়েছিল। সেখানেই এবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই গেস্ট হাউসেই অস্থায়ী জেল তৈরি করা হয়েছে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে ২৮ ঘণ্টা আটক করে রাখার পর তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
যোগী সরকারকে নিশানা বাঘেলের
বিমান বন্দরে অবতরণের পরেই বাঘেলকে জানানো হয়েছিল ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে লখিমপুরে তাই তাঁকে সেখানে যেতে দেওয়া যাবে না। তার প্রতিবাদে রীতিমত ফুঁসে উঠেছেন ভূপেশ বাঘেল। কেন তাঁকে সেখানে যেতে দেওয়া যাবে না তার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন তিনি। যোগীর রাজ্যে কোনও রকম আইন শৃঙ্খলা নেই বলে তীব্র নিশানা করেছেন ভূপেশ বাঘেল। ৮ কৃষকের মৃত্যুর প্রতিবাদে সরব হয়েছেন তিনি।
লখিমপুরে উত্তেজনা
এখনও থমথমে হয়ে রয়েছে লখিমপুর খেরা এলাকা। দেহ সৎকারে নারাজ গ্রামবাসীরা। তাঁরা দাবি করেছেন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এদিকে দোকান-বাজার সব বন্ধ এলাকায়। লখিমপুর েখরায় টহল দিচ্ছে এসএসবি জওয়ানরা। পাঞ্জাব,হরিয়ানা থেকে একাধিক গাড়ি এসেছে মৃত কৃষকদের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে।