পরনে ধুতি, তাই চেন্নাইয়ের ক্রিকেট ক্লাবে ঢুকতে দেওয়া হল না হাই কোর্টের বিচারককে
বিচারপতি হরিপরন্থমন যখন লালবাতি লাগানো গাড়ি থেকে নেমে চেপকের ক্রিকেট ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের মূল দরজার দিকে এগোচ্ছিলেন তখনও তিনি পর মুহূর্তের এই আতিথেয়তার জন্য খুব একটা প্রস্তুত ছিলেন না। বিচারপতি হরিপরন্থমন জানিয়েছেন, মাদ্রাজ হাই কোর্টের প্রাক্তন মুখ্য বিচারপতি টি এস অরুণাচলমের একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে তাঁর যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানেই তিনি আমন্ত্রিত ছিলেন। বিকেল ৫ টা ২৫ মিনিট নাগাদ তিনি সেখানে পৌছন। কিন্তু তাঁকে ভিতরে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়।
বিচারপতির কথায়, ক্লাবের এক কর্মী এবং প্রহরী আমাকে জানায় আমি ধুতি পরে আছি বলে আমাকে ক্লাবের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। অফিস আধিকারিকরা এ বিষযে কড়া নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন তাদের, তাই তারা তা অমান্য করতে পারবেন না। আলোচ্য 'ড্রেস কোড' ছাড়া পরনে অন্য কোনও পোশাক থাকলে কাউকেই ফিতরে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। বিচারপিতর বলেন, আমি ওদের বলি যে ক্লাবের সদস্যদের জন্য যে বাধ্যতামূলক পোশাক রয়েছে তা ঠিক আছে, কিন্তু আমি ক্লাবের সদস্যের আমন্ত্রিত। আমার উপর এই বাধ্যতামূলক নির্দেশ কেন লাগু করা হবে।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি হরিপরন্থমন বলেন, এই ব্যবহার কাম্য ছিল ছিল না। এরকম হলে সদস্যদের বাইরে কাউকে আমন্ত্রণ দেওয়ার অনুমতিই দেওয়া উচিত হয়নি ক্লাব কর্তৃপক্ষের।
বিচারপতি হরিপরন্থমনের বিলাপ, ব্রিটিশ শাসনের সময়ে ক্লাবে তারাই এই প্যান্টকে বাধ্যতামূলক করে দিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে স্বাধীনতার পরেও ব্রিটিশদের সেই নিয়ম বদল করেনি ক্লাব। আর আমাদের জাতীয় পোশাকই নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। শুধু তামিলনাড়ু ক্রিকেট ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন ক্লাব নয়, শহরে মোট ৫টি ক্লাব রয়েছে যেখানে ধুতি পরার অনুমতি নেই বলে জানিয়েছেন বিচারপতিদের একাংশ। এই ক্লাবগুলির মধ্যে রয়েছে, জিমখানা ক্লাব,মাদ্রাস ক্লাব, বোট ক্লাব, মাদ্রাজ ক্রিকেট ক্লাব, তামিলনাড়ু ক্রিকেট ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন ক্লাব।