কঠিন পরীক্ষায় পাস, চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশে সফল চন্দ্রযান
সাফল্যের সঙ্গে কঠিন পরীক্ষায় পাস করল চন্দ্রযান-২। চাঁদের কক্ষপথে সঠিক ভাবেই প্রবেশ করত পেরেছে সেটি।
সাফল্যের সঙ্গে কঠিন পরীক্ষায় পাস করল চন্দ্রযান-২। চাঁদের কক্ষপথে সঠিক ভাবেই প্রবেশ করত পেরেছে সেটি। ইসরোর পক্ষ থেকে এই সাফল্যের খবর জানিয়ে টুইট করা হয়েছে। ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করার কথা চন্দ্রযানের। তাই হিসেব মতো আজকের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল ইসরোর কাছে। চাঁদের কক্ষ পথে ঠিক মতো প্রবেশ করতে না পারলে মহাশূণ্যে দিশাহীন ভাবে ঘোরাফেরা করত চন্দ্রযান-২। বিফলে যেত ভারতের চাঁদ অভিযান।
চাঁদের কক্ষপথে চন্দ্রযানকে প্রবেশ করানোই ছিল ইসরোর বড় চ্যালেঞ্জ। চিন্তায় অনেকটা বিনিদ্র রজনীই কাটিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। কারণ চন্দ্রযান-২র গতি নিয়ন্ত্রণ করার উপরেই পুরো প্রক্রিয়াটি নির্ভর করছিল। সঠিক গতিতেই চন্দ্রযানকে চাঁদের কক্ষ পক্ষে প্রবেশ করানো বিজ্ঞানীদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। একেবারে অব্যর্থ হতে হবে সেই গতি। এক সেকেন্ড বেশি নয় আবার এক সেকেন্ড কম নয়। কারণ গতি কম হলেই সেটি চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে ছিটকে পড়বে চাঁদে। তার আর কোনও অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যাবে না। প্রায় রাতভর জেগেই অঙ্ক মিলিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
ইসরোর স্যাটেলাইট সেন্টারের ডিরেক্টর এম আন্নাদুরি জানিয়েছেন, ঘণ্টায় ৩৬০০ কিলোমিটার গতিবেগে ঘুরছে চাঁদ, সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে চন্দ্রযানের গতিও সমান হতে হবে। তার দূরত্ব এখন ৩,৮৪ লাখ কিলোমিটার। চন্দ্রযানের গতিবেগকেও সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়েছে। চাঁদের কক্ষ পথে প্রবেশের আগে পর্যন্ত চন্দ্রযানে-২এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩৯,২৮০ কিলোমিটার। ধীরে ধীরে এই গতিকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে ১৭ দিন ধরে। তবেই চাঁদের গতির সঙ্গে মিলানো যাবে চন্দ্রযান-২য়ের গতি। পুরো অঙ্কটা সঠিক পথে চললে ৭ সেপ্টেম্বর সাফল্যের সঙ্গে চাঁদে অবতরণ করবে চন্দ্রযান।
অবশেষে সাফল্য এসেছে। চাঁদের কক্ষপথে সাফল্যের সঙ্গে আজ প্রবেশ করেছে চন্দ্রযান-২। এখন এই কক্ষপথে ১৭ দিন ঘুরবে সেটি। সেই ঘুরতে ঘুরতেই চাঁদের কাছে পৌঁছে যাবে চন্দ্রযান। ৭ সেপ্টেম্বর মাহেন্দ্রক্ষণে চাঁদে অবতরণ করবে সেটি। সেদিন চরম পরীক্ষা ইসরোর বিজ্ঞানীদের। কারণ চাঁদে অবতরণের উপরেই নির্ভর করছে ইসরোর মুন মিশনের সাফল্য।