বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতার ঝামাপুকুরের চন্দ্রবাড়ির পুজো
রামপ্রসাদ চন্দ্র ১৭৬১-৬২ সাল নাগাদ নিজের ভদ্রাসনে শিবদুর্গা মূর্তিতে দুর্গাপুজো আরম্ভ করেছিলেন। সুবলচাঁদের সময় থেকে পুজোর রমরমা বৃদ্ধি পায়। পুজো স্থানান্তরিত হয় ঝামাপুকুর অঞ্চলে।
ব্যবসা সূত্রে হুগলি জেলার আদি সপ্তগ্রাম থেকে কলকাতার জোড়াসাঁকো অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেন সোনার কারবারি রামপ্রসাদ চন্দ্র। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি ১৭৬১-৬২ সাল নাগাদ নিজের ভদ্রাসনে শিবদুর্গা মূর্তিতে দুর্গাপুজো আরম্ভ করেছিলেন। রামপ্রসাদের এক উত্তরপুরুষ সুবলচাঁদের সময় থেকে পুজোর রমরমা বৃদ্ধি পায়। পুজোও স্থানান্তরিত হয় ঝামাপুকুর অঞ্চলে।
[আরও পড়ুন:ইতিহাসে স্বতন্ত্র বড়িশার সাবর্ণ রায়চৌধুরী বাড়ির পুজো]
সুবলচাঁদ ছিলেন সেই সময়কার নামজাদা ব্।বসায়ী এবং সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ছিলেন সুবলচাঁদ। ম্যানচেষ্টারে তাঁর কটন মিল ছিল বলে জানা যায়।
ঐতিহ্যকে অক্ষরে অক্ষরে অনুসরণ করা হয় চন্দ্র বাড়ির পুজোয়। এই বাড়ির প্রতিমা যাঁরা তৈরি করেন, তাঁরা বংশানুক্রমিকভাবে চন্দ্র বাড়ির প্রতিমার রূপদান করে আসছেন। পুরোহিতদের ক্ষেত্রেও বংশানুক্রমিক রীতিই অনুসৃত হচ্ছে। পুজোর চারদিন চন্দ্রদের আত্মীয়স্বজন সকলে ঝামাপুকুরের বাড়িতে মিলিত হন। মহিলাদের পরণে থাকে সনাতনী শাড়ি ও গগনা, নাকে ঝোলে নথ। পুরুষদের পোশাকও হয় ঐতিহ্যানুগ। পুজো উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার পুরনো নীতি এখনও বজায় আছে এই পরিবারে।
এই পরিবারের আরও একটি শাখা রয়েছে ২২৪ বিধান সরণিতে। সেখানেও দুর্গাপুজো হয়। এই পুজোটিও হয় শিবদুর্গা মূর্তিতে।