অরুণাচল প্রদেশে ৩৭১ ধারা নিয়ে বড় ঘোষণা অমিত শাহর! উত্তর-পূর্বে কী প্রভাব এই ধারার?
গত বছরই বহুল আলোচিত ৩৭০ ধারা বাতিলের পথে হেঁটেছিল কেন্দ্র। জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া এই ধারা বাতিলের পর বিরোধীরা অভিযোগ করতে শুরু করেন যে এরপর ৩৭১ ধারাও বাতিল করবে কেন্দ্র। তবে এই দাবি পুরোপুরি মিথ্যা বলে বারবারই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার অরুণাচল প্রদেশ সফরে গিয়ে ইটানগরে ফের একবার এই নিয়ে উত্তর-পূর্বের জনগণকে আশ্বস্ত করেন অমিত শাহ।
অরুণাচল প্রদেশে ৩৭১ এইচ ধারা
প্রসঙ্গত, ৩৭১ এইচ ধারা অনুযায়ী অরুণাচল প্রদেশে মন্ত্রিপরিষদের সঙ্গে পরামর্শ করে নিজস্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন রাজ্যপাল এবং সে মোতাবেক পদক্ষেপও করতে পারেন তিনি। ৩৭১ ধারা বিভিন্ন উপধারার মাধ্যমে এরকমই অনেক রাজ্যকেই বিশেষ সুবিধা প্রদানের কথা বলা রয়েছে।
মিজোরামে ৩৭১ জি ধারা
যেমন উত্তর-পূর্বের অপর এক রাজ্য মিজোরামও এই ধারা সুবিধা পায়। ৩৭১ জি ধারা অনুযায়ী মিজোরামে মিজো জনগোষ্টীদের ধর্মীয় বা সামাজিক আচরণ নিয়ে বা মিজোদের নিজস্ব আইনকানুন নিয়ে বা সেখানকার জমির মালিকানা বা হস্তান্তর নিয়ে সংসদ কোনও আইন বিধানসভার সম্মতি ছাড়া প্রণয়ন করতে পারবে না।
সিকিমে ৩৭১ এফ ধারা
একইরকম ভাবে ৩৭১ এফ ধারা অনুযায়ী সিকিমে বিধানসভার সদস্যরা প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। সিকিমের বিভিন্ন জনগোষ্ঠী মানুষজনের জন্য বিধানসভায় প্রিনিধিত্বের জন্য সংসদ বিধানসভায় আসন সংখ্যা স্থির করে দিতে পারে, যে সব আসনগুলিতে ওই জনগোষ্ঠীর সদস্যরাই থাকবেন।
৩৭১ ধারা ও ইত্তর-পীর্বের সংস্কৃতি নিয়ে যা বললেন অমিত শাহ
৩৭১ ধারায় উত্তর-পূর্বের বিশেষ সুবিধেগুলির কথা রয়েছে। অমিত শাহ বলেন, 'উত্তর-পূর্বের সংস্কৃতি ছাড়া ভারতের সংস্কৃতি অসম্পূর্ণ। যতক্ষণ না এই মিশ্রণগুলি একত্রিত হয় ততক্ষণ ভারত অসম্পূর্ণ। সমস্ত ভারত বিশ্বাস করে যে উত্তর-পূর্বের উন্নয়ন এবং উত্তর-পূর্বের মানুষের কল্যাণ কেবল এই অঞ্চলের নয়, পুরো দেশের দায়বদ্ধ।'