উৎসবের মরশুমে ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্যগুলির সঙ্গে কেন্দ্রের বৈঠক
উৎসবের মরশুমে ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্যগুলির সঙ্গে কেন্দ্রের বৈঠক
খাদ্য হোক কিংবা জ্বালানি, মোদী সরকারে দাম বেড়েছে উত্তরোত্তর। তবে এবার ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবস্থা নিতে চলেছে৷ উৎসবের মরশুমে ভোজ্য তেলের দাম, চাহিদা, যোগান, প্রাপ্যতা ও মজুদ নিয়ে আলোচনার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে কেন্দ্র সরকার৷
উৎসবের মরশুমের দিকে নজর রেখে, কেনদ্রের খাদ্য ও পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন (DFPD) বিভাগের সচিব সুধাংশু পান্ডে আজ ভোজ্য তেল নিয়ে আলোচনার জন্য সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর বৈঠকের অন্যতম উদ্দেশ্য ভারত জুড়ে ভোজ্য তেলের মজুদের সীমা এবং দাম নির্ধারণ করা।
ডিএফপিডি ভোজ্য তেলের দাম এবং সাধারণ মানুষের কাছে যোগানের উপর নজর রাখে। কেন্দ্রীয় সংস্থাটির পক্ষ থেকে দেওয়া একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আসন্ন উৎসবের মরসুমের ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ৷ এই সময়ে ভোজ্য তেলের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। কেন্দ্র সরকার-চালিত বিভাগটি আরও জানিয়েছে, যেহেতু প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোজ্য তেলের চাহিদা আলাদা, তাই তারা ভোজ্য তেল এবং তৈলবীজের জন্য তাদের স্টক সীমা চূড়ান্ত করার বিজ্ঞপ্তি জারী করতে পারে। ডিএফপিডি সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ভোজ্য তেলের মজুদ পর্যবেক্ষণ করার জন্য একটি ওয়েবসাইটও তৈরি করেছে। পাম অয়েল, সূর্যমুখী তেল এবং সয়াবিন তেলের আমদানি শুল্ক কমানো সহ ভোজ্য তেলের উচ্চমূল্য কমিয়ে আনতে কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
অভ্যন্তরীণ দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যেই কেন্দ্রের তরফে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভোজ্য তেল ও তেলবীজের অধিকাংশ ব্যবসায়ীর জন্য স্টক সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক আমদানি শুল্ক কমানোর পর তেলের দাম কেজিতে ৩-৪ টাকা পর্যন্ত কমেছে। নভেম্বর ২০২০ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ১১ মাসের ব্যবধানে উদ্ভিজ্জ তেল আমদানি ২ শতাংশ বেড়ে ১২,৪৭০,৭৮৪ টন হয়েছে যা আগের বছরের একই সময়ে ১২,২৫৭,৮৩৭ টন ছিল। আমদানিকৃত মোট উদ্ভিজ্জ তেলের মধ্যে ভোজ্যতেল আমদানি বেড়ে ১১,৯৫০,৫০১ টন থেকে ১২,০৮৫,২৪৭ টন হয়েছে এবং অ-ভোজ্য তেল আমদানি ৩০৭,৩৩৩ টন থেকে বেড়ে ৩৮৫,৫৩৭টন হয়েছে।