দেশে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের স্টক বাকি কতটা! কী জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক?
করোনার প্রকোপে জর্জরিত গোটা বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে করোনা প্রকোপ থেকে বাঁচার কোনও ওষুধ বা প্রতিষেধকই পরীক্ষিত নয়, তাই বাজারেও আসেনি সেগুলি। বেশ কয়েকটি দেশ করোনার ওষুধ আবিষ্কার করার দাবি জানালেও তা এখনও পরীক্ষিত নয়।
১ লক্ষের বেশি মানুষ মারা গিয়েছে
বিশ্বজুড়ে ইতিমধ্যেই ১ লক্ষের বেশি মানুষ মারা গিয়েছে করোনার জেরে। ভারতও রেহাই পায়নি করোনার গ্রাস থেকে। করোনা প্রকোপ থেকে বাঁচার কোনও ওষুধ বা প্রতিষেধকই বাজারে আসেনি এখনও। বেশ কয়েকটি দেশ করোনার ওষুধ আবিষ্কার করার দাবি জানালেও তা এখনও পরীক্ষিত নয়। তাই বর্তমানে সবারই ভরসা হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন।
ওষুধ রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত
এই পরিস্থিতে ভারত আন্তর্জাতিক বিশ্বের সংহতি ও সহযোগিতা বজায় রাখতে ভারত ওষুধ রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। তবে আন্তর্জাতি মঞ্চে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানানো হলেও দেশে এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ওষুধ রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা তোলার কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পরই এই নিয়ে তোপ দাগেন রাগুল গান্ধী। পাশাপাশি রফতানির আগে দেশের মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ মজুত রাখার দাবিও তোলেন রাহুল।
হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নিয়ে রাজনৈতিক তরজা
এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই দেশে জোর তরজা চলছে। তার মধ্যেই আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রয়েছে। এবং ভবিষ্যতের জন্যেও এই ওষুধ তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে ভারতের বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাকে।
উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছে হাইড্রক্সিক্লোরোক্যুইনের
ভারতের দুটি সংস্থা, জাইডাস কাডিলা ও ইপকা ল্যাবস তাদের ওষুধ বানানোর গতি বৃদ্ধি করেছে। সরকারের চাহিদা মেটাতে প্রতি মাসে প্রায় ২০ মেট্রিক টন হাইজ্রক্সিক্লোরোক্যুইন তৈরি করা শুরু করেছে সংস্থাগুলি। আগে যেটা মাসে মাত্র তিন টন ছিল। পরবর্তী সময়ে এই ওষুধ তৈরির গতি আরও বাড়ানো হবে বলেও জানানো হয়েছে সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে। তাদের লক্ষ্য, মাসে ৪০ থেকে ৪০ টন ওষুধ তৈরি। এই সংসস্থাগুলির সব থেকে সুবিধারজনক বিষয় হল, এদের কাছে এই ওষুধ তৈরির পর্যাপ্ত কাচা মাল মজুত রয়েছে।
রাগটির বৃহত্তম উৎপাদক দেশ ভারত
প্রসঙ্গত, গোটা বিশ্বের মধ্যে 'হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন' ড্রাগটির বৃহত্তম উৎপাদক দেশ হল ভারত। ইতিমধ্যে আমেরিকাতেও ওই ড্রাগ সরবরাহ করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সহায়তার জন্যে ভারত ও প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছিলেন যে আমেরিকা এই সহায়তা কখনই ভুলতে পারবে না। জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অনেকটা কার্যকরী হচ্ছে ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক ড্রাগ হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন। তাই ভারতের পাশাপাশি গোটা বিশ্বেই এর চাহিদা বেড়ে গিয়েছে ওই ওষুধ।