পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ! কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী উত্তরে হাড় হিম কথা তথ্য
ভারতে প্রথম করোনার (coronavirus) সংক্রমণ প্রকাশ্যে আসে এবছরের জানুয়ারিতে। তারপর থেকে নয়মাস সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। এই প্রথমবারের জন্য রবিবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে স্বীকার করে নেওয়া হল দেশে করোনার গে
ভারতে প্রথম করোনা ভাইরাসের (coronavirus) সংক্রমণ প্রকাশ্যে আসে এবছরের জানুয়ারিতে। তারপর থেকে নয়মাস সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। এই প্রথমবারের জন্য রবিবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে স্বীকার করে নেওয়া হল দেশে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা। সরকারের তরফে এও জানানো হয়েছে, গোষ্ঠী সংক্রমণ (community transmission) দেশের বিভিন্ন জায়গায় হয়েছে।
করোনা মহামারী ভারতে শীর্ষে পৌঁছেছে! জনসংখ্যার কত শতাংশের মধ্যে অ্যান্টিবডি, জানাল সরকারি প্যানেল
পশ্চিমবঙ্গের দাবির জবাবে মন্ত্রী দিলেন তথ্য
এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনকে প্রশ্ন করা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা দাবি নিয়ে। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, রাজ্যের কোনও কোনও জায়গায় গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে। এব্যাপারে এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, বিভিন্ন রাজ্যে কোনও কোনও জায়গায় গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে।
ঘন বসতি পূর্ণ এলাকায় গোষ্ঠী সংক্রমণ
দেশে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়ে বলে জানিয়েও, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, দেশের সর্বত্র তা ঘটেনি। নির্দিষ্ট রাজ্যের নির্দিষ্ট কিছু জেলায় গোষ্ঠী সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
আগে গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা অস্বীকার
এর আগে বিভিন্ন জায়গায় থেকে গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা উঠে আসলেও, সরকারের তরফ থেকে তা বারেবারে অস্বীকার করা হয়েছিল। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জবাবে বলেছিল, ছোট্ট প্রাদুর্ভাব হয়েছে। যদিও এর আগে কেরল সরকার এবং দিল্লি সরকারের তরফে গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা বলা হয়েছিল। এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা বলার পরে কেন্দ্রের তরফে মহামারীর তৃতীয় ধাপের কথা স্বীকার করে নেওয়া হল।
গোষ্ঠী সংক্রমণের সংজ্ঞা
গোষ্ঠী সংক্রমণ হল এমনই একটা অবস্থা, যখন সংক্রমণ বিস্তার লাভ করে। সেখানে কার থেকে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায় না। অর্থাৎ উৎস এবং সংক্রমণের চেন এ- কোনও প্রমাণ পাওয়া যা না।
ভারতে ৩০%-এর মধ্যে অ্যান্টিবডি
দেশের ৩০ শতাংশ মানুষের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রকের তরফে গঠিত প্যানেলের। দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরে এই প্যানেলের গঠন করেছিল মোদী সরকার। এই প্যানেল জানিয়েছে, ২০২১-এর ফেব্রুয়ারি নাগাদ দেশে উপসর্গযুক্ত আক্রান্তের সংখ্যা হবে ১,০৬,০০০ জন।