কংগ্রেসের দাবিতেই শিলমোহর? করোনা আবহে এবার শহরেও শুরু হবে মনরেগা
মে ও জুন মাসে মহত্মা গান্ধী গ্রামোন্নয়ন কর্মসংস্থান আইন বা মনরেগা-র অধীনা কাজের চাহিদা ছিল তুঙ্গে তবে জুলাইয়ে লকডাউন শিথিল হতেই মনরেগার অধীনে কর্মসংস্থানের চাহিদা কমে ব্যাপক হারে। দেখা গিয়েছে যে লকডাউন একটু শিথিল হতেই শহরে ফিরে গিয়েছেন অনেকে। তবে সেখানে ফিরে কর্মসংস্থানের অভাবে ভুগছেন সিংহভাগ মানুষ।
শহরাঞ্চলেও মনরেগা
এই আবহে এবার শহরাঞ্চলেও ছড়িয়ে দেওয়া হতে পারে মনরেগা। এর জন্য প্রাথমিক ভাবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে৷ প্রাথমিক ভাবে এই প্রকল্পের জন্য ছোট শহরগুলিকে বেছে নেওয়া হচ্ছে কারণ বড় শহরগুলিতে যে কোনও প্রকল্পের জন্য অনেক বেশি পেশাদারি দক্ষতার প্রয়োজন হয়৷ প্রসঙ্গত, করোনা আবহে পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজ নিজ গ্রামে ফিরে গেলে তাদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যেই মরেগাকে কাজে লাগিয়েছিল কেন্দ্র।
গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা সচল রাখার চেষ্টা
লকডাউনের ফলে গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা যেন থমকে না যায়, সে জন্য গত ২০ এপ্রিল থেকে মনরেগা প্রকল্প চালু করার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এই মনরেগা প্রকল্পকে প্রথম থেকেই কটাক্ষ করে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে করোনা সংক্রমণের এই সময় সেই মনরেগা প্রকল্পেই বড় পরিমাণের অর্থ বরাদ্দের ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
৪০ হাজার কোটির বরাদ্দ করা হয়
অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করে জানিয়েছিলেন, আরও কর্মসংস্থানের জন্য মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট খাতে অতিরিক্ত ৪০ হাজার কোটির বরাদ্দ করা হচ্ছে। ২০ লাখ কোটির আর্থিক প্যাকেজের বিস্তারিত বিবরণ দিতে গিয়ে পঞ্চম দফার সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
মনরেগা নিয়ে কংগ্রেসের দাবি
এর আগে করোনা প্যানডেমিক চলায় ক্রমবর্ধমান কাজের চাহিদা ও সুযোগকে বাড়াতে কেন্দ্রকে মনরেগা প্রকল্পটির পরিধি ও মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছিল কংগ্রেস৷ যদিও মনরেগা প্রকল্পকে প্রথম থেকেই কটাক্ষ করে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে মনরেগা নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের উপর আরও চাপ বাড়াতে চাইছে কংগ্রেস। আর সেই আবহেই এবার শহরেও পৌঁছাতে চলেছে মনরেগা।