বেআইনিভাবে ৬২ সাল থেকেই দখলে রাখা জমিতেই ব্রিজ বানাচ্ছে চিন! সংসদে জানাল কেন্দ্র
বেআইনি ভাবে অধিকৃত জমিতে ব্রিজ বানাচ্ছে চিন। আজ শুক্রবার লোকসভায় এমনটাই তথ্য দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। গত কয়েকদিন ধরেই ভারত-চিন সংঘাত অন্য মাত্রা পেয়েছে। লাগাতার সীমান্তে সেনা বাড়াচ্ছে চিন। শুধু তাই নয়, হচ্ছে একের পর ন
বেআইনি ভাবে অধিকৃত জমিতে ব্রিজ বানাচ্ছে চিন। আজ শুক্রবার লোকসভায় এমনটাই তথ্য দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। গত কয়েকদিন ধরেই ভারত-চিন সংঘাত অন্য মাত্রা পেয়েছে। লাগাতার সীমান্তে সেনা বাড়াচ্ছে চিন। শুধু তাই নয়, হচ্ছে একের পর নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সে দেশ। যার মধ্যে অন্যতম এই ব্রিজ।
এদিন সংসদের তরফে জানানো হয়েছে যে, Pangong Tso (Pangong Lake) এর উপর যে ব্রিজ চিন তৈরি করছে তা অবৈধ ভাবে দখল করা জমিতেই হচ্ছে। এক লিখিত ভাবে প্রশ্নের উত্তরে সরকার আরও জানায়, ১৯৬২ সাল থেকেই চিন এই জায়গা দখল করে রেখেছে। শুধু তাই নয়, তা স্বীকারও করা হয় না বলে দাবি মোদী সরকারের।
উল্লেখ্য গত কয়েকমাস আগেই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সীমান্তের বেশ কিছু ছবি কেন্দ্রের হাতে আসে। আর সেই ছবি কার্যত বিশ্লেষণ করে উদ্বেগ বাড়ে সেনাবাহিনীর। ছবিতে দেখা যায় চিনের দিকে থাকা Pangong Lake-এর একটি ব্রিজ তৈরি করছে। এই এলাকায় এই নির্মান কাজকে ঘিরেই গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল একটা সময়ে। Pangong Lake- চিন এবং ভারতের দুই অংশেই রয়েছে। এই অপূর্ব সুন্দর।
সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, চিন এই লেকের উপর ব্রিজ তৈরি করে ফেললে খুব দ্রুত একটা অংশ থেকে অন্য অংশে রসদ পৌঁছতে পারবে। শুধু তাই নয়, ভারতকে চাপে ফেলতে একাধিক কৌশল তাঁদের হাতে চলে আসবে।
এই তথ্য সামনে আসার পর থেকেই লাগাতার বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে মোদী সরকারকে। আর সেখানে দাঁড়িয়ে এদিনের এহেন মন্তব্য কেন্দ্রের, অস্বস্তি বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সরকারের তরফে এদিন বলা হয় যে, প্যাংগং লেকে চিনের দ্বারা নির্মিত সেতুর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে। যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখা হচ্ছে বলেও এদিন জানানো হয়েছে। তবে এই ব্রিজ যে জায়গাতে বানানো হচ্ছে তা ১৯৬২ সাল থেকেই সে দেশের কাছে রয়েছে বলে দাবি।
তবে সরকার সবসময়েই বলে এসেছে জম্মু এবং কাশ্মীর, লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। ভারতের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে অন্য দেশ সম্মান করবে বলে দাবি ভারতের। তবে একাধিক বিষয় নিয়ে কুটনৈতিক এবং সেনাস্তরে আলোচনা হয় ভারত এবং চিনের মধ্যে। অবশ্যই এই বিষয়টি ভারত তুলবে বলেও এদিন জানানো হয়েছে সরকারের তরফে।