পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি, বিজেপির মামলা গ্রহণ করল শীর্ষ আদালত
পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি, বিজেপির মামলা গ্রহণ করল শীর্ষ আদালত
হাইকোর্টে ঝুলে রয়েছে মামলা। অবশেষে কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে বিজেপির আবেদন গ্রহণ করল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল হাইকোর্টে আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিন্তু হাইকোর্টের সিঙ্গিল বেঞ্চের রায়ে খারিজ হয়ে যায় বিজেপির কেন্দ্রীয় বাহিনী দাবির আবেদন। তারপরে বিজেপি ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানায়। কিন্তু তাতেও মামলাটি ঝুলে রয়েছে। আগামিকাল পুরভোট তাই জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানির জন্য শীর্ষ আদালত বিজেপির আবেদবনটি গ্রহন করে।
বিজেপির মামলা নিল সুপ্রিম কোর্ট
অবশেষে পুরভোটের এক দিন আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিজেপির মামলা গ্রহন করল শীর্ষ আদালত। জরুরি ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। কারণ আগামিকালই কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডে ভোট গ্রহন। এর আগে বিজেপির আর্জি ফিরিয়ে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এবং জানিয়েছিল পুরভোটে কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হবে। এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হবে কিনা সেই মামসার সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট নেবে। তবে এখনও পুরভোটের মামলা ঝুলে রয়েছে হাইকোর্টে।
রাজ্য পুলিশেই আস্থা হাইকোর্টের
পুরভোটেও শাসক দল ভোট লুঠ করে অভিযোগ করে হাইকোর্টের মামসা করেছিল বিজেপি। কিন্তু হাইকোর্টের সিঙ্গিলবেঞ্চ রায় দেয় রাজ্য পুলিশই মোতায়েন থাকবে বুথে বুথে। অর্থাৎ বিজেপির কেন্দ্রীয় বাহিনীর আর্জি খারিজ করে দেয় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। শেষে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিজেপি ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে। ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে বুথে বুথে নিরাপত্তার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। যার জেরে এখনও মামলাটি হাইকোর্টে ঝুলে রয়েছে।
ক্ষুব্ধ বিজেপি
হাইকোর্টের রায়ে ক্ষুব্ধ বঙ্গ বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তারপরেই নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন কোনও বিজেপি প্রার্থী আক্রান্ত হলে তার দায় নিতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। এমনকী ভোট লুঠ হলেও তার দায় নিতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে। এমনই হুঙ্কার দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেই সঙ্গে শাসক দলতে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন যদি বাইরে থেকে ভোটার নিয়ে এসে ভোট করানো হয় তাহলে বিজেপি চুপ করে থাকবে না। ঝাণ্ডা নিয়ে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ হবে। ভোটের দিন কোনও অব্যবস্থা হলে তার পাল্টা প্রতিক্রিয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েেছন তিনি।
পুরভোটে স্থগিতাদেশ খারিজ
পুরভোটে স্থগিতাদেশ চেয়েও হাইকোর্টে মামলা করেছিল বিজেপি। কিন্তু হাইকোর্ট সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। ১৯ তািরখেই পুরভোট হবে বলে জানিয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকারকে কড়া বার্তা দিয়ে বলেছে বকেয়া পুরভোট দ্রুত শেষ করতে হবে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানিতে বকেয়া পুরভোটের নির্ঘন্ট আদালতকে জানাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে বলেছে যত কম সংখ্যক দফায় বকেয়া পুরভোট করাতে হবে।