করোনা ছড়াতে পারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের থেকে! রাজ্যগুলিকে কোন সতর্কবার্তা কেন্দ্রের?
গত মার্চ মাসে দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিঘি জামাতের আয়োজিত ধর্মীয় সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন অনেক রোহিঙ্গা শরণার্থীরাই। এই কারণে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিয়ে এবার বিভিন্ন রাজ্যকে সতর্কবার্তা পাঠাল কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের বক্তব্য, এই রোহিঙ্গাদের মধ্যেও করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নিজামুদ্দিন থেকে ছড়ায় করোনা ভাইরাস
দিল্লির পশ্চিম নিজামুদ্দিনে তবলিঘ-ই-জামাতের মসজিদ থেকে কমপক্ষে ৮৫০ জনকে অন্য একটি জায়গায় কোয়ারান্টাইন করে রাখা হয়েছে বলে খবর। এদের মধ্যে ৪০০ জনেরও বেশি জনের শরীরে করোনা সংক্রমণের উপসর্গ দেখা গিয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়া সারা দেশে নিজামউদ্দিন যোগ থাকা ৪ হাজার মানুষের করোনা সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে গত কয়েক সপ্তাহে। এছাড়া এই ঘটনার পরই দেশে করোনার জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে।
রাজ্যগুলিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সতর্কবার্তা
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তাই রাজ্যগুলোকে বলেছে, প্রয়োজনে রোহিঙ্গাদের শরণার্থী শিবিরে গিয়ে করোনা সংক্রমণের বিষয়ে খতিয়ে দেখুক তারা। রাজ্যগুলিকে কেন্দ্র বলেছে, 'রোহিঙ্গাদের শিবিরগুলোতে গিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁদের স্ক্রিন করা উচিত এবং তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করা দরকার। কেননা এই খবর পাওয়া গেছে যে রোহিঙ্গা মুসলিমরা তবলিঘি জামাতের বিভিন্ন ধর্মীয় জমায়েতে অংশ নিয়েছে।'
কী লেখা হয় কেন্দ্রের চিঠিতে?
চিঠিতে আরও লেখা, 'হায়দরাবাদের শিবিরে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা মেওয়াতের ইজতেমায় যোগ দিয়েছিল এবং তারপরে তাঁরা নিজামউদ্দিনের মার্কাজেও গিয়েছিল। এছাড়াও শ্রম বিহারে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা, শাহীনবাগেও তাবলিগি জমায়েতে যোগ দেয়। তারপরে তাঁরা অনেকেই আর নিজেদের শিবিরে ফিরে আসেনি।'
৩০ হাজার তবলিগি জামাতের সদস্যদের খোঁজ মিলেছে
এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩০,০০০ জনকে তবলিগি জামাতের সদস্যদের খুঁজে বের করেছে যাঁরা মার্কাজ বা দিল্লির নিজামুদ্দিনের সদর দফতরে আয়োজিত ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছে বা অন্য কোনও বড় বড় সমাবেশে যোগ দিয়ে রাজ্য সরকারগুলোর নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেছে।
তবলিঘি কাণ্ড
প্রসঙ্গত, গত ১ থেকে ১৫ মার্চের মধ্যে দিল্লির ওই মসজিদে অন্তত ২ হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিল। দিল্লিতে ওই মসজিদে শুধু ভারত নয়, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কিরগিজিস্তান থেকেও বিভিন্ন মানুষজন এসে ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেখান থেকেই ব্যাপক হারে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে বলে খবর। সংক্রমণের ঘটনায় দিল্লির ওই মসজিদের মওলানার বিরুদ্ধে পুলিশকে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছে কেজরিওয়াল সরকার।