চিদম্বরমের ছেলের নামে হুলিয়া জারি, সিবিআইকে আদালতে চ্যালেঞ্জ
কার্তি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিদেশি মুদ্রা আইন ভেঙেছেন। একটি বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে তিনি বিদেশি লগ্নি আইন ভেঙে সাড়ে তিন কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমের ছেলের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করল সিবিআই। কার্তি চিদাম্বরমের বিদেশ পালানো রুখতেই এই ব্যবস্থা করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এদিন সিবিআই-এর পক্ষ থেকে দেশের সমস্ত বিমানবন্দর, বন্দর ও সীমান্তে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপে আরও বিপাকে পড়লেন কার্তি চিদাম্বরম। অস্বস্তিতে কংগ্রেসও।
কার্তি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিদেশি মুদ্রা আইন ভেঙেছেন। একটি বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে তিনি বিদেশি লগ্নি আইন ভেঙে সাড়ে তিন কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। সেই অভিযোগের তদন্ত করছে সিবিআই। সিবিআই মনে করছে, যে কোনও সময়েই দেশে ছেড়়ে পালাতে পারেন চিদাম্বরম-পুত্র। তা ঠেকাতেই আগেভাগে আসরে নেমে পড়েছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা।
এদিকে কার্তি চিদাম্বরম সিবিআইয়ের এই হুলিয়া জারির বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তিনি মাদ্রাজ হাইকোর্টে ইতিমধ্যেই আবেদন করেছেন সিবিআইয়ের জারি করা লুক আউট নোটিশ প্রত্যাহার করার জন্য। সোমবার এই মা্মলার শুনানি হওয়ার কথা। কিন্তু সিবিআইয়ের আশঙ্কা তার আগেই বিদেশে পাড়ি দিতে পারেন কার্তি।
তাই আগেভাগে লুক আউট নোটিস জারি করে কার্তিকে দেশে আটকে রাখতে বদ্ধপরিকর সিবিআই। এই হুলিয়া জারির ফলে বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে আগে থেকে সিবিআই বা ইডিকে জানাতে হবে। তারা অনুমতি দিলেই তিনি বিদেশে যেতে পারবেন, নচেৎ তিনি দেশ ছাড়তে পারবেন না।
কার্তির বিরুদ্ধে এই অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, তিনি বাবার নাম করেই এই ঘুষ নিয়েছিলেন। তখন পি চিদাম্বরম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। সেই প্রভাবও তিনি খাটান। যদিও কার্তি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, এ সবই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কংগ্রেসকে হেয় প্রতিপন্ন করতেই কেন্দ্রের শাসকদল এই তদন্ত করাচ্ছে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে।
এদিন কার্তির বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হওয়ায় তামিলনাড়ুর শিবগঙ্গায় কংগ্রেসকর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। কার্তির বিদেশে যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই বলেও তাঁরা দাবি জানান। কার্তির ছবি নিয়ে এদিন বিক্ষোভে সামিল হন কংগ্রেসকর্মীরা। পি চিদম্বরমও সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, 'আমি কোনওদিন সরকারি কাজে আমার পরিবারের সদস্যদের নাক গলাতে দিইনি। ফলে অভিযোগ ভিত্তিহীন।'