হাথরাসে সিবিআই আধিকারিকরা, নির্যাতিতার মাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে তদন্তকারীরা
হাথরাসের ঘটনার তদন্তে আজ নির্যাতিতার গ্রামে গেলেন সিবিআই আধিকারিকরা। যুবতীর ভাইয়ের বয়ান অনুযায়ী যে মিলেট খেতে সেদিন যুবতীর উপর নির্যাতন চালানো হয়েছিল, সেখানেও যান তাঁরা। যুবতীর অসুস্থ মাকেও ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন যুবতির ভাই, একজন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ ও পুলিশ।
৩০ সেপ্টেম্বর বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়
দু'সপ্তাহ ধরে দিল্লির এক হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ার পর মৃত্যু হয় যুবতির। আর এরপর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদের ঝড়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। সাতদিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল ওই বিশেষ তদন্তকারী দলের। পরে রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময়সীমা আরও দশ দিন বাড়ানো হয়।
সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেন মুখ্যমন্ত্রী
এরই মাঝে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এরপর তদন্তভার নিয়ে এফআইআর করে সিবিআই। এফআইআর-এ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬-ডি ধারায় গণধর্ষণ, ৩০৭ ধারায় খুনের চেষ্টা, ৩০২ ধারায় খুন এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি আইনের ৩ নম্বর ধারায় নৃশংসতার মামলা রুজু করা হয়।
এলাহাবাদ হাইকোর্টে হাথরাস মামলা
এদিকে গতকালই এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে বিচারপতি পঙ্কজ মিথাল ও রঞ্জন রায়ের উপস্থিতিতে যুবতীর পরিবারের জবানবন্দি নেওয়া হয়। হাথরাসের জেলাশাসক, পুলিশ সুপারের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব, ডিজিপি ও এডিজি (আইনশৃঙ্খলা)-ও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।