সিএএ নিয়ে বিক্ষোভ ও পাল্টা বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ দিল্লি, পুলিশ কনস্টেবল সহ নিহত বেড়ে ৪
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পক্ষে এবং বিপক্ষে দুটি দলের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজধানী দিল্লির রাজপথ। সবমিলিয়ে একজন পুলিশ কর্মী সহ মোট চারজন মারা গিয়েছেন। উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হওয়া এই ঘটনায় সবমিলিয়ে আহত হয়েছেন ৫০ জনের বেশি মানুষ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরকে বিঘ্নিত করতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা দোকান ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়েছে। গাড়িতে আগুন লাগিয়েছে। চারিদিকে কার্যত তাণ্ডব চালিয়েছে। বাড়িঘর ভাঙচুর করে পেট্রোল পাম্পে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এদিন গুজরাত ও উত্তরপ্রদেশ সফর করে দিল্লিতে এসেছেন। আগামিকাল তাঁর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা। এরপর দ্বিপাক্ষিক সাক্ষাৎ হওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। সেখানে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির ঘোষণা হতে পারে। তার মধ্যে দিল্লির এই ঘটনা সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে।
দিল্লির জাফরাবাদ, মৌজপুর, চাঁদবাগ, খুরেজি ইত্যাদি এলাকায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পক্ষে-বিপক্ষে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। ঘটনা প্রশমিত করতে এসে পুলিশকে লাঠি চালাতে হয়, কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে হয়। দু'পক্ষের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে গিয়ে প্রাণ হারান পুলিশের হেড কনস্টেবল রতনলাল।
দুই দলের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হন। বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া ইঁটের আঘাতে পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়ে পরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ওদিকে নাগরিকত্ব আইনের স্বপক্ষে যারা রাস্তায় ছিলেন তারাও বেশ কয়েক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সব মিলিয়ে রাজধানী দিল্লি বারবার নাগরিকত্ব ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়েছে। যে পরিস্থিতি তাতে এখনও পর্যন্ত অশান্তি থামার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় মঙ্গলবার উত্তর-পূর্ব দিল্লির সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে সবরকমের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন দেখার এই অশান্তি কত দূর গড়ায়।