ডেডলাইন ২০২৩ হলেও বুলেট ট্রেন চালু হতে এখনও পাঁচ বছর, উঠে আসছে বিভিন্ন কারণ
করোনা
সঙ্কট,
টেন্ডারে
জাপানি
সংস্থার
কম
যোগদান
সহ
বহু
কারণের
জন্য
নির্ধারিত
সময়ের
মধ্যে
বুলেট
ট্রেন
চালু
করার
সম্ভাবনা
কম।
বুলেট
ট্রেন
চালু
হতে
কমপক্ষে
পাঁচ
বছর
সময়
লাগবে
বলে
জানা
গিয়েছে
সরকারিভাবে।
জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বুলেট ট্রেন চালু করার নির্ধারিত সময় ছিল। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ আশা করছে যে তা ২০২৮ সালের অক্টোবর হতে পারে। এই বুলেট ট্রেন প্রকল্পে কাজ করা জাপানি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করার পরই রেলের পক্ষ থেকে এই সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারের এক শীর্ষ অধিকর্তা বলেন, 'সমস্ত বকেয়া মস্যাগুলি যদি দ্রুত সমাধান হয় তবে হয়ত আমরা সময় সঙ্কুচিত করতে পারি। তবে এ ধরনের জটিল প্রযুক্তিগত প্রকল্পে সাধারণত সময় সঙ্কোচন করা হয় না।’
৫০৮ কিমি মুম্বই–আহমেদাবাদ হাই স্পিড রেল করিডর ০.১ শতাংশ সুদে ও ১৫ বছরের চুক্তিতে জাপানের থেকে ৮০ শতাংশ ঋণ নিয়ে তৈরি হচ্ছে। শিংকানসেনের আদলে সম্পূর্ণ জাপানি প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই ট্রেনটি তৈরি করা হবে। মহারাষ্ট্রের তিন জেলা (মুম্বই, থানে ও পালঘর), গুজরাতের আট জেলার (ভলসাড, নবসারি, সুরত, ভরুচ, বদোদরা, আনন্দ, খেড়া ও আহমেদাবাদ) উপর দিয়ে যাবে এই ট্রেন। ভারতের পক্ষ থেকে ঠিক করা হয়েছিল যে দেশের ৭৫ বছর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ২০২২ সালে এই প্রকল্পের কিছুটা অংশ চালু করা হবে। যদিও রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ই সময়সীমার কোনও বদল হয়নি।
ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের এক মুখপাত্র বলেন, 'সমীক্ষার সম্ভাবত ফল অনুসারে, এই প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। কিন্তু জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের নিকট সমুদ্রের নিচে সাত কিমি সহ ২১ কিমি ভূগর্ভস্থ প্রসারিত এই গুরুত্বপূর্ণ পথের দরপত্রে জাপানের কোনও যোগদান দেখা যায়নি এবং এ বছরও কোনও প্রথম প্রয়াস লক্ষ্য করা যায়নি। এছাড়াও জাপানি সংস্থাগুলি কর্তৃক কার্যকর করা ১১টি দরপত্রের মধ্যে বেশিরভাগের মূল্যই ৯০ শতাংশের বেশি ছিল, যা এই প্রকল্পের পরামর্শদাতাদের উদ্ধৃত দামের চেয়ে অনেক বেশি। ভারতের পক্ষে যা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
শুধু ২১ কিমি দৈর্ঘ্যের প্রসারণের জন্যই বড়, উন্নত বোরিং মেশিনগুলির প্রয়োজন রয়েছে, যা মহারাষ্ট্রের নিকটবর্তী ফ্লেমিংগো অভয়ারন্য রক্ষার জন্য একটি বিশেষ প্রযুক্তিগত পদ্ধতি ব্যবহার করবে। জানা গিয়েছে যার জন্য ৬০ মাসেরও বেশি সময় লাগবে। উদ্বেগের অন্য কারণ হল রোলিং স্টক সংগ্রহ। জাপানিদের অনুসারে, একমাত্র কাওয়াসাকি ও হিটাচি ট্রেন সরবরাহ করতে সক্ষম। তবে সূত্রের খবর, উভয় সংস্থাই একত্রে মাত্র একটি টেন্ডার জমা দিয়েছে, যার জন্য একক–দরপত্রের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এবার নয় ভারতীয় পক্ষকে এটা এড়িয়ে যেতে হবে বা এটা উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে।
কোভিড পরিস্থিতির কারণে ভারত ও জাপানের মধ্যে যৌথ কমিটির বৈঠক এ বছরের প্রথমে হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। এই বৈঠকেই বুলেট ট্রেন সংক্রান্ত সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা ও সমাধান সূত্র খোঁজা যেত। পরবর্তী দুই দেশের বৈঠকে এই সমস্যা সমাধান হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে দেশে বুলেট ট্রেন চলাচলের রুট সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। হাই স্পিড বুলেট ট্রেন চালানোর জন্য আপাতত সাতটি রুট নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে ভারতীয় রেল। এই সাতটি রুটে জমি অধিগ্রহণের কাজও শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। ভারতীয় রেল এবং ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া একসঙ্গে জমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে কাজ শুরু করবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গডকরির তত্ত্বাবধানে হওয়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।