উত্তরপ্রদেশের একাধিক শহরে বিক্ষোভের নামে হিংসার ছবি, উস্কানির ফল অভিযোগ বিজেপির
ভারদোই, মেরাট, কানপুর, বুলন্দশহর, গোরক্ষপুর সহ উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভের নামে হিংসার ঘটনা। উত্তরপ্রদেশের মোট ১৪টি জেলায় এই হিংসা রুখতে আগেভাগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ইন্টারনেট ও এসএমএস পরিষেবা। এদিকে এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মার দাবি করেন, এই হিংসার ঘটনা রাজনৈতিক উস্কানির ফল। হিংসার ঘটনার খবর এসেছে লখনউয়ের একাধিক জায়গা থেকে। বড় বড় শহরে সব কটা পেট্রোল পাম্প বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

হিংসার আগুন উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লিতে
ফিরাজাবাদে একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। গোরক্ষপুরে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করে বিক্ষোভকারীরা। এছাড়া অশান্তি ছড়ায় মুজফ্ফরনগরেও বিক্ষোভের নামে হিংশার আগুন জ্বলছে। বাহরাইচেও পরিস্থিতি থমথমে। জুম্মার নামাজের পরেই সেখানেও বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এদিকে উত্তরপ্রদেশ লাগোয়া দিল্লির উত্তর-পূর্ব জেলার সীলামপুরেও নতুন করে অশান্তি শুরু হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ সত্ত্বেও সঙ্গবদ্ধ বিক্ষোভকারীরা
বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে ইন্টারনেট পরিষেবা ও এসএমএস পরিষেবা বন্ধ থাকা সত্ত্বেও কী করে বিক্ষোভকারীরা সঙ্গবদ্ধ হতে সমর্থ হল। সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে হিংসা ছড়ানোয় গতকাল পর্যন্ত আটক করা হয়েছিল ৩৫০০ জনকে। তাও আজ হিংশা রুখতে ব্যর্থ হয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেওয়া গেলেও, বিক্ষোভ জারি বেশ কিছু এলাকায়।

ভারী সংখ্যায় বাহিনী মোতায়েন
আজ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সকাল থেকে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায় ও স্পর্শকাতর শহরগুলিতে ভারী সংখ্যায় বাহিনী মোতায়েন করা ছিল। শান্তি বজায় রাখতে ও ভুয়ো খবর ছড়ানো আটকাতে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত লখনউতে ইন্টারনেট ও এসএমএস পরিষেবা আগেই বন্ধ করার ঘোষণা করেছিল প্রশাসন। পাশাপাশি লখনউ সংলগ্ন জেলাগুলি থেকে অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েনের জন্য নিয়ে আসা হয় রাজ্য রাজধানীতে।

আলিগড়ে লাল সতর্কতা
উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে আগেই জারি করা করা হয়েছিল লাল সতর্কতা। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে চলতে থাকা বিক্ষোভ প্রদর্শনের মাঝেই আজ শুক্রবার, জুম্মার নামাজ উপলক্ষে লোক সমাগম হয় শহরে। এদিকে নামাজে আগতদের কোনও ভাবে হিংসা ছড়ানোর জন্যে যাতে উস্কানির না দিতে পারে, তার নজর রেখেছিল প্রশাসনের। তবে সেখানেও কয়েকটি হিংশার ঘটনার খবর এসেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইতিমধ্যেই আলিগড়ে মোতায়েন করা হয়েছিল ১৪ কোম্পানি আধা সেনা। এদিকে লাগাতার পঞ্চম দিন সেখানে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট ও এসএমএস পরিষেবা।
প্রতীকী ছবি