নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে সমর্থন করায় বিধায়ককে দল থেকে বহিষ্কার করলেন মায়াবতী
নাগরিকতা সংশোধনী আইন সমর্থন করায় দল থেকে বহিষ্কৃত হলেন বহুজন সমাজ পার্টির বিধায়ক। মধ্যপ্রদেশের পথেরিয়ার বিধায়ক রমাবাই পরিহারকে দলের অনুশাসন বহির্ভূত কাজ করার দায়ে বহুজন সমাজ পার্টি থেকে বহিষ্কার করলেন দলনেত্রী মায়াবতী। এই বিষয়ে মায়াবতী জানান, রমাবাই নাগরিকতা সংশোধনী আইন সমর্থন করেছিলেন বলেই তাঁর বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মায়াবতীর হুঁশিয়ারি
মায়াবতী দলীয় এই বিধায়ককে বহিস্কার করে জানিয়ে দেন, ভবিষ্যতে বহুজন সমাজ পার্টির কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না রমাবাই পরিহার। পাশাপাশি মায়াবতীর হুঁশিয়ারি, দলের অনুশাসন ভাঙলে পরবর্তীতে অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও এমন কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
|
টুইট বার্তায় কী বললেন মায়াবতী
এই বিষয়ে মায়াবতী এক টুইট বার্তায় লেখেন, 'বহুজন সমাজ পার্টি একটি অনুশাসিত দল, আর অনুশাসন ভাঙা দলের সাংসদ আর বিধায়কদের বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। আর সেই ক্রমেই মধ্যপ্রদেশের পথেরিয়ার বহুজন সমাজ পার্টির বিধায়ক রমাবাই পরিহার দ্বারা নাগরিকতা সংশোধন আইনের সমর্থন করায় তাঁকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। উনি এবার থেকে আর দলের কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না।'
প্রথম থেকেই সিএএ বিরোধিতায় বিএসপি
প্রসঙ্গত, বহুজন সমাজ পার্টি প্রথম থেকেই এই আইনকে বিভাজনকারী আর অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে এর তীব্র বিরোধিতা করে এসেছে। এমনকি সংসদেও নাগরিকতা সংশোধন বিলের বিরুদ্ধে বহুজন সমাজ পার্টি সাংসদরা ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু এর পরেও বহুজন সমাজ পার্টি বিধায়ক রমাবাই পরিহার নাগরিকতা সংশোধন আইনের সমর্থন করেছিলেন। আর এর আগেও উনি দলের অনুশাসনের বাইরে অনেক কাজ করেছিলেন বলে অভিযোগ।
বহিস্কৃত বিধায়ককে দলে নিতে পারে কংগ্রেস!
এদিকে মধ্যপ্রদেশের কমলনাথ সরকারকে বাঁচানোর জন্য বিএসপি বিধায়কের সমর্থনের প্রয়োজন ছিল। আর এই জন্য শোনা যাচ্ছে যে, কমলনাথ সরকার বিএসপি বিধায়ক রমাবাইকে কংগ্রেসে নিতে পারেন। সেই ক্ষেত্রেও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়তে পারে। কারণ যেহেতু সিএএ-র বিরোধিতা করে কংগ্রেস ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে যে মধ্যপ্রদেশে তাঁরা সিএএ বা এনআরসি লাগু হতে দেবে না। তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ উঠতে পারে। প্রশ্ন উঠতে পারে, সিএএ সমর্থনকারী এক বিধআয়ককে কী করে দলে নিলেন কমলনাথ।