ড্রোনের ব্যবহারে সীমান্ত অস্থির করতে চাইছে পাকিস্তান! চলছে দেদার পাচার
সীমান্তে নজরদারি চালাতে বিভিন্ন দেশের তৈরি ড্রোন ব্য়বহার করছে পাক সেনা৷ পাশাপাশি, ড্রোনের সাহায্যেই ভারত-পাক সীমান্ত দিয়ে চালানো হচ্ছে পাচার৷ চালকহীন খুদে আকাশযান থেকে ফেলা হচ্ছে, অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদক৷ এমনটাই দাবি বিএসএফের ডিজি রাকেশ আস্থানার৷ এমনকী, এই দাবির স্বপক্ষে ভারতের হাতে ভিডিয়ো ফুটেজও রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি৷
নজরদারির পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র, বিস্ফোরক এবং মাদক পাচারের ক্ষেত্রেও ড্রোনের প্রযুক্তি কাজে লাগাচ্ছে পাকিস্তান৷ এমনটাই দাবি বিএসএফের ডিজি রাকেশ আস্থানার৷ ফিকি-র আয়োজিত এরো ইন্ডিয়া ২০২১ প্রদর্শনীতে তিনি জানান, তাঁর এই দাবির স্বপক্ষে ২০১৯ সালের ১৬৭টি এবং ২০২০ সালের ৭৭টি ভিডিয়ো ফুটেজ রয়েছে ভারতের হাতে৷ যেখানে ড্রোনের সাহায্য়ে পাচারের কাজ চালানোর ফুটেজ মিলেছে৷
ভারত-পাক সীমান্তে বহুবার ড্রোন থেকে অস্ত্র, গুলি, বিস্ফোরক এবং মাদক ফেলতে দেখা গিয়েছে ৷ পঞ্জাব ও জম্মু সেক্টরে এমন ঘটনা সবথেকে বেশি ঘটে বলেও জানান ডিজি আস্থানা৷ তিনি বলেন, 'শুধুমাত্র পাচারের জন্যই নয়, সীমান্তে নজরদারি চালানোর ক্ষেত্রেও ড্রোনকে কাজে লাগাচ্ছে পাকিস্তান৷'
আস্থানা জানিয়েছেন, গোয়েন্দা সূত্রে যে খবর তাঁদের কাছে এসেছে, তা যথেষ্ট উদ্বেগের ৷ সীমান্তের খুঁটিনাটি জানতে ছোটো ছোটো ড্রোন ব্য়বহার করছে পাক সেনা ৷ এই ধরনের ড্রোনগুলি কয়েক ঘণ্টা লাগাতার বাতাসে ভেসে থাকতে পারে৷ এবং ১৫০ কিলোমিটারের মধ্য়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে৷ এই কাজে চিন, রাশিয়া, সৌদি আরব, জার্মানি এবং ইট্যালির তৈরি ড্রোন ব্য়বহার করে তারা৷
এদিকে এদিন ফের নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানি সেনার। গতকাল ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার সুন্দরবনী সেক্টরে। ঘটনায় লক্ষ্মণ নামে এক জওয়ান শহিদ হন। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানি সেনার গোলাগুলিতে লক্ষ্মণ নামে ওই জওয়ান গুরুতর জখম হয়েছিলেন। পরে তিনি মারা যান। লক্ষ্মণ একজন সাহসী এবং সচেতন জওয়ান ছিলেন। তাঁর বলিদান এবং কর্তব্যনিষ্ঠার জন্য এই দেশ চিরকাল তাঁর কাছে ঋণী থাকবে।