স্বামীকে খুনের পর দেহ লুকিয়ে সেই বাড়িতেই চলত স্ত্রীর মধুচক্রের আসর, ঘটনায় চাঞ্চল্য়
২০০৪ সালের ঘটনা। সাবিতা তার বিবাহবহির্ভূত প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ছিলেন।
২০০৪ সালের ঘটনা। সাবিতা তার বিবাহবহির্ভূত প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ছিলেন। আর সে দৃশ্যই দেখে ফেলেন তার স্বামী সহদেব। তখনই প্রেমিক কমলেশের সঙ্গে মিলে স্বামী সহদেবকে খুন করে সবিতা। আর মৃতদেহ ঢুকিয়ে দেয় বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে। ট্যাঙ্কে সিমেন্ট চাপা দিয়ে দেওয়া হয়। মুম্বইয়ের বয়সার এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে।
এরপর কেটে গিয়েছে ১৩ বছর। কেউ স্বামীর কথা জিজ্ঞাসা করলে সবিতা বলত, তার স্বামী সহদেব মাতাল হয়ে তাকে ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছে। আর এই ১৩ বছর ধরে সেই বাড়িতে রমরমিয়ে মধু চক্রের আসর জমাত মৃত সহদেবের স্ত্রী সবিতা। কিছুদিন আগেই ৪২ বছর বয়সী সবিতা গ্রেফতার হয়। পুলিশের কাছে স্বীকার করে নেয় তার অপরাধের কথা। পাশাপাশি জানিয়েছে, আরও দুজন ব্যক্তিকেও সে হত্য়া করেছে।
এতবছর পর , সেই সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয়েছে মৃত সহদেবের দেহাবশেষ। এদিকে, স্বামী ছাড়াও আরও ২ জনের হত্যার ঘটনায় একজন ব্যক্তিকে নিছক বলি দেওয়ার জন্য সে হত্যা করেছে। এদিকে, গত ৪ ডিসেম্বর সবিতাকে গ্রেফতার করে তার কবজা থেকে বহু যুবতীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নানা রাজ্য থেকে লোপাট হওয়া যুবতীকে সবিতার কাছে আনা হত বলে খবর ছিল পুলিশের কাছে। তার জেরেই এই গ্রেফতারি।