মধ্যস্থতাকারীকে বিশ্বাস করে ঠকে গিয়েও হল শেষরক্ষা! বিয়ে বাতিল করল কনে
বর টাকা গুণতে না পারায় বিয়ে বাতিল করল কনে। পিছনে রয়েছে অন্য গল্প।
যৌতুক না পেয়ে বরপক্ষ বিয়ে বাতিল করেছে। আবার বিয়ের আসনে যৌতুকের দাবি করায় কন্যা বিয়ের পিড়ি থেকে উঠে এসেছে। কোনও না কোনও জায়গায় আজও এইসব ঘটনা ঘটে থাকে। তবে এব্যাপারে নতুন একটি ঘটনা সামনে এসেছে। যেখান থেকে পরিষ্কার পর্দার আড়ালে নয়, সব কিছুর প্রত্যক্ষ মোকাবিলা করতে চায় দেশের মেয়েরা। উত্তর প্রদেশের ফারুখাবাদে বর টাকা গুণতে না পারায় বিয়ে বাতিল করে দিয়েছে কনে। তবে এর পিছনেও আছে অন্য গল্প।
কনের সিদ্ধান্ত
নিজের বিয়ে বাতিল করার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি নিয়েছে ২১ বছর বয়সী এক কন্যা। জানা গিয়েছে, কনের বাড়িতে বিয়ের আচার চলার সময় বরের সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ্য করেন পুরোহিত। যা তিনি কনের বাড়ির লোকজনকে জানান।
ঝগড়ায় পুলিশ আসে
কন্যা রীতা সিং বিয়ের মঞ্চ ত্যাগ করেন। এরপরেই দুই পরিবারের মধ্যে ঝডগড়া শুরু হয়ে যায়। যা মেটাতে পুলিশকে ছুটে আসতে হয়। কনের পরিবার অভিযোগ করেছে, বিয়ের দিন পর্যন্ত তাঁরা জানতেন না বর মানসিকভাবে দুর্বল।
থানায় অভিযোগ দায়ের হয়নি
পাত্রী বিয়ের পিড়ি থেকে উঠে যাওয়ার পরে দুই পরিবারের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। পুলিশ আসার পরে মধ্যস্থতার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পাত্রী তাতে রাজি হয়নি। আর হবেই বা কেন? স্থানীয় থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বলেছেন, এব্যাপারে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
মধ্যস্থতাকারীকে বিশ্বাসে এই পরিস্থিতি
রীতার ভাই মোহিত জানিয়েছেন, সরল বিশ্বাসে তাঁরা বিয়ের আয়োজন করেছিলেন। বিয়ের মধ্যস্থকারী হিসেবে এক আত্মীয়কে তারা বিশ্বাস করেছিলেন। তবে পাত্রের সঙ্গে কথা না বলাটা যে ভুল হয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। তবে শেষরক্ষা করেছেন পুরোহিত। পুরোহিত অদ্ভূত আচরণ লক্ষ্য করতেই পাত্রের হাতে তুলে দেওয়া হয় ১০ টাকার ৩০ টি নোট। যা পাত্র গুণতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে কন্যা রীতা সিং বিয়ে করতে অস্বীকার করে।
তৃণমূল নেতার নয়া দুর্নীতি হদিশ! বিধায়কের দলবদল বিতর্কের পাল্টা দিলেন দিলীপ