করোনা লকডাউনের মাঝে মোদী সরকারের ঘোষণা করা বড় সিদ্ধান্তগুলি একনজরে
করোনা লকডাউনের মাঝে মোদী সরকারের ঘোষণা করা বড় সিদ্ধান্তগুলি একনজরে
দেখতে দেখতে কুড়ি দিন পার করল লকডাউন। করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সারা দেশকে মহামারীর হাত থেকে বাঁচাতে ২৫ মার্চ থেকে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবং সেই লকডাউনের সময়সীমা ইতিমধ্যে পার হতে চলেছে। নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করেছে বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় ভাবেও তা ঘোষণা হচ্ছে। প্রথম কুড়ি দিনে সরকার কোন কোন বড় সিদ্ধান্ত নিল এই ভাইরাস সংক্রমণের পর তা একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
প্রথম উদ্যোগ
উজ্জ্বলা প্রকল্পের অধীনে কেন্দ্র সরকার তিন মাসের জন্য ৮.৩ কোটি দরিদ্র মহিলাকে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার পাইয়ে দেবে।
দ্বিতীয় উদ্যোগ
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে সমস্ত দরিদ্রের বাড়িতে যাঁরা ৫ কেজির কুকিং গ্যাস ব্যবহার করেন, তাঁদের আগামী তিন মাসের জন্য বিনামূল্যে রিফিলিং করে দেওয়া হবে। যারা ১৪ কেজি সিলিন্ডার ব্যবহার করেন তাদের ক্ষেত্রে তিনবার এই সুবিধা মিলবে।
তৃতীয় উদ্যোগ
কেন্দ্র সরকার কুড়ি লক্ষ সুরক্ষা স্টোর ভারত জুড়ে তৈরি করছে। যা নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী আমজনতার হাতে তুলে দেবে সঠিক সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে।
চতুর্থ উদ্যোগ
প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার অধীনে ৬ লক্ষ কৃষক সুবিধা পেয়েছেন। তাদের অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা পৌঁছে গিয়েছে। যা সবমিলিয়ে ১৩ হাজার ৮৫৫ কোটি।
পঞ্চম উদ্যোগ
কেন্দ্র সরকার সম্প্রতি আরোগ্য সেতু মোবাইল অ্যাপ চালু করেছে। যা এই ভাইরাস সম্পর্কে মানুষকে জ্ঞান প্রদান করবে। এবং দুর্যোগের মধ্যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
ষষ্ঠ উদ্যোগ
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানিয়েছেন, সরকারের তরফে ১৮ হাজার কোটি টাকার ট্যাক্স রিফান্ড দেওয়া হবে ব্যবসায়ী ও নাগরিকদের ক্ষেত্রে।
সপ্তম উদ্যোগ
কোনও নিশ্চিত গ্যারান্টার ছাড়া যে কোল্যাটেরাল ফ্রি ঋণ সেল্ফ হেল্প গ্রুপের মহিলাদের দেওয়া হতো তা বাড়িয়ে কুড়ি লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
অষ্টম উদ্যোগ
আয়কর জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০ জুন, ২০২০ পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছে। এবং পরে জমা দেওয়ায় যে সুদের হার গুনতে হয় তা ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৯ শতাংশ করে দেওয়া হয়েছে।
নবম উদ্যোগ
মনরেগার মজুরি ১৮২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০২ টাকা করা হয়েছে। এর ফলে মজদুররা অতিরিক্ত ২ হাজার টাকা করে পাবেন।
দশম উদ্যোগ
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে লড়তে ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন।
একাদশতম উদ্যোগ
এই দুর্যোগের সময় সরকার ঘোষণা করেছে যে কোনও কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত টাকা তুলতে পারবেন। এতে কোনও সার্ভিস চার্জ লাগবে না। এবং তা করমুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
দ্বাদশ উদ্যোগ
জাতীয় সামাজিক সহযোগিতা প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ২ কোটি ৮২ লক্ষ বয়স্ক মানুষ, বিধবা, বিকলাঙ্গদের জন্য ১৪০০ কোটি টাকা ফান্ড বরাদ্দ করে তাদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
ত্রয়োদশ উদ্যোগ
প্রায় কুড়ি কোটি মহিলার জন ধন অ্যাকাউন্টে ৫০০ টাকা করে সরকারের তরফে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে সরকারের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
চতুর্দশ উদ্যোগ
২ কোটি কনস্ট্রাকশন কর্মীদের জন্য আপৎকালীন সাহায্য হিসেবে ৩০৬৬ কোটি টাকা অর্থ সাহায্য করা হয়েছে।
পঞ্চদশ উদ্যোগ
মার্চ, এপ্রিল, মে মাসের জিএসটি রিটার্নের সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০ জুন ২০২০ পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছে। এবং দেরির জন্য কোনওরকম অতিরিক্ত সুদ দিতে হবে না পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত টার্নওভার করা ব্যবসার ক্ষেত্রে।
ষোড়শ উদ্যোগ
কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল একটি ওয়েব পোর্টালের সূচনা করেছেন। যা কেন্দ্রের করোনা সংক্রান্ত যে সমস্ত উদ্যোগ রয়েছে তা পর্যবেক্ষণ করবে ও রেকর্ড করবে। এটির নাম দেওয়া হয়েছে 'যুক্তি'।
সপ্তদশ উদ্যোগ
আধার ও প্যান সংযুক্তিকরণের শেষ সময়সীমা ৩১ মার্চ থেকে বাড়িয়ে ৩০ জুন ২০২০ পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছে।
অষ্টদশ উদ্যোগ
এর পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকার সাহায্য কেন্দ্রীয় তরফেও মঞ্জুর করা হয়েছে।
উনিশতম উদ্যোগ
কেন্দ্র জানিয়েছে এপ্রিল থেকে জুনের ত্রৈমাসিকে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা মাধ্যমে ১ কোটি ২০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বাজারে ছাড়া হবে যাতে সারা দেশে খাবারের সমস্যা না হয়।
বিশতম উদ্যোগ
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স, চিকিৎসকেরা দিনরাত কাজ করছেন তাঁদের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার মেডিক্যাল বীমা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার।