'মমতারা যতই জোট বাঁধুন, ২০১৯ লোকসভা জিতবে বিজেপিই', গর্জে উঠলেন অমিত শাহ
২০১৯ সালেও বিরোধীরা জোট বাঁধবে। এটা নতুন কোনও কথা নয়। তা সত্ত্বেও বিজেপি লোকসভা ভোটে জয় পাবে বলে দাবি করেন শাহ।
কর্ণাটকে বিজেপির সরকার গড়া আটকানো দিয়ে ২০১৯ লোকসভা ভোটে বিরোধীদের একজোট হওয়ার মঞ্চ তৈরি হল। অনেকেই এমন মত পোষণ করছেন। কর্ণাটক ভোটকে সামনে রেখে সমস্ত বিরোধীরাই ২০১৯ লোকসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে এক ছাতার তলায় এসে লড়বে। এমনটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে এন চন্দ্রবাবু নাইডু, কেসি রাও থেকে শুরু করে এমকে স্তালিন সকলেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এমনকী রাহুল গান্ধীও কর্ণাটক নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বার্তা দিয়েছেন, কংগ্রেসও সেই বিরোধী জোটের অংশীদার হতে চলেছে।
তবে তা নিয়ে বিজেপি আদৌও ভাবিত নয়। অন্তত লোকচক্ষুর সামনে তো নয়ই। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তাঁর ব্যাখ্যা, ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনেও বিরোধীরা একজোট হয়ে যে যার রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। তার কী ফল হয়েছে তা সকলেই জানেন।
[আরও পড়ুন:কর্ণাটকে 'অপবিত্র জোট' সরকার গড়ছে, কং-জেডিএসকে আক্রমণ শাহের]
সেভাবেই ২০১৯ সালেও বিরোধীরা জোট বাঁধবে। এটা নতুন কোনও কথা নয়। তা সত্ত্বেও বিজেপি লোকসভা ভোটে জয় পাবে বলে দাবি করেন শাহ। তাঁর ব্যাখ্যা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অখিলেশ যাদব, কেজরিওয়াল, স্তালিনরা নিজের নিজের রাজ্যে জোর খাটাবেন। অন্য রাজ্য়ে প্রভাব ফেলতে পারবেন না। ফলে আঞ্চলিক দলগুলি একজোট হয়ে লড়লেও জাতীয় প্রেক্ষিতে মহাজোট গড়তে পারবে না। যে জোট তৈরি হবে তার বিরুদ্ধে বিজেপি আগেও লড়াই করে জয়ী হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কর্ণাটকে কি এবার রাষ্ট্রপতি শাসন! প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনারের মন্তব্য নয়া জল্পনা ]
ঘটনা হল, বুধবার এইচডি কুমারস্বামীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অখিলেশ যাদব, মায়াবতী, সনিয়া ও রাহুল গান্ধী, এন চন্দ্রবাবু নাইড়ু, এমকে স্তালিন থেকে শুরু করে এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই সেখানে উপস্থিত থেকে আগামী লোকসভা ভোটে নতুন জোটের সমীকরণ উসকে দিতে পারেন। আর তার আগে সেই সম্ভাবনাময় জোটকেই ঘুরিয়ে কটাক্ষ করলেন অমিত শাহ।
প্রসঙ্গত, কর্ণাটকে ভোটের ফলাফল বেরনোর পর বিরোধী শক্তি এক হয়ে বিজেপি যাতে সরকার গড়তে না পারে সেই আহ্বান জানিয়েছিল। আঞ্চলিক দলগুলির জোটের পুরোধা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এইচডি কুমারস্বামীকে ফোন করে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি জোটবার্তা দেন। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। তারপর বাকী দলের নেতারাও এগিয়ে এসে জোটকে সমর্থন করেন।