কেরলে ‘মেট্রোম্যান’ শ্রীধরণকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে চায় বিজেপি! ঘোষণার পরই ইউটার্ন মন্ত্রীর
চলতি মাস থেকেই একাধিক রাজ্যে শুরু হয়ে যাচ্ছে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শেষ মূহূর্তের নির্বাচনী প্রস্তুতিতে ঝাঁপিয়েছে শাসক-বিরোধী সব পক্ষই। এমনকী প্রতিটা দলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে চলছে জোরদার আলোচনা। এদিকে শেষ মূহূর্তে বড় চমক দিতে গিয়ে ল্যাজেগোবরে হল কেরলের গেরুয়া শিবির। আগামীতে 'মেট্রোম্যান’ ই শ্রীধরনের হাত ধরেই নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে চাইছে বিজেপি। তাঁকেই করা হবে পদ্ম শিবিরের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর মুখ। এমন খবর রটানোর পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলীধরন ইউটার্ন নিয়ে জানালেন, এমনটা আপাতত সিদ্ধান্ত হয়নি।
গত সপ্তাহেই বিজেপিতে যোগ
এদিনই এই ঘোষণা করতে দেখা যায় কেরলের বিজেপি সভাপতি কে সুরেন্দ্রন। এমনকী দল দ্রুতই অন্যান্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করবে বলেও জানান তিনি। সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন 'মেট্রো ম্যান'। এদিকে এর আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, দল যদি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী করে, তাহলে তাঁর আপত্তি নেই। অবশেষে তা হওয়াতে স্বভাবতই খুশি ৮৮ বছর বয়সি দিল্লি মেট্রোর অন্যতম প্রধান স্থপতি।
বিজয় যাত্রা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা রাজ্য সভাপতি সুরেন্দ্রনের
এদিকে এদিন ভোট প্রচারে রাজ্যব্যাপী বিজয় যাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুরেন্দ্রন। সেই প্রচারের ফাঁকে তিনি শ্রীধরণ প্রসঙ্গ তোলেন। এমনকী আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই রাজ্যের সবক'টি বিধানসভা আসনেই যে বিজেপি প্রার্থী ঘোষণা করতে চলেছে সেই কথাও জানাতে ভোলেননি তিনি। দিল্লি মেট্রোকে জনপ্রিয় গণপরিবহণ হিসেবে তুলে ধরে ইতিমধ্যে কেন্দ্র-রাজ্যের গুড বুকে নাম লিখিয়ে ফেলেছেন ই শ্রীধরণ।
ডিএমআরসি থেকে পদত্যাগ
এদিকে বুধবারই পুনর্গঠিত পালারিভট্টম ফ্লাইওভার-এর চূড়ান্ত পরিদর্শনে এসেছিলেন ই শ্রীধরণ। তখনই তিনি ডিএমআরসি থেকে পদত্যাগের কথা জানান। এমনকী শীঘ্রই যে তিনি আসন্ন নির্বাচনে লড়ার জন্য বিজেপির তরফে মনোনয়ন জমা দিতে চলেছেন সেকথাও জানান তিনি। যদিও ডিএমআরসি থেকে পদত্যাগ করলেও তিনি তাঁর তৈরি প্রকল্পগুলির তদারকি করে যাবেন, বলেও দাবি করেছেন শ্রীধরণ।
লাভ জেহাদ নিয়ে সরব শ্রীধরন
অন্যদিকে সম্প্রতি লাভ জিহাদ' নিয়েও সরব হতে দেখা যায় শ্রীধরনকে। তিনি যে স্পষ্ট ভাষাতে আগামীতে এই কাজের বিরোধীতা করতে চলেছেন সেকথাও জানান তিনি। একই সাথে বর্তমানে রাজ্যকে অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে উদ্ধারের পক্ষেও জরালো সওয়াল করেন তিনি। তবে তাকে রাজ্যপাল করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁর সাফ জবাব, "আমি মুখ্যমন্ত্রী না হলে যে কাজ গুলি করতে চাইছি, সেগুলির উপর গুরুত্ব দিতে পারব না। আমি কখনওই রাজ্যপাল হতে চাই না। কারণ, সেটা পুরোপুরি সাংবিধানিক পদ।"