জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে ক্ষুব্ধ বিজেপি, বিস্তারিত জেনে নিন
সংবিধানের ৩৫-এ ধারা 'পবিত্র গরু' নয়, যে হাত দেওয়া যাবে না।সংবিধানের এই ধারার জন্যই জম্মু ও কাশ্মীর বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা পেয়েছে। জাতীয় পতাকা নিয়ে রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনায় বিজেপি
সংবিধানের ৩৫-এ ধারা 'পবিত্র গরু' নয়, যে হাত দেওয়া যাবে না। সংবিধানের এই ধারার জন্যই জম্মু ও কাশ্মীর বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা পেয়েছে। এই ভাষাতেই জাতীয় পতাকা নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির মন্তব্যের সমালোচনা করল বিজেপি।
এই ধারার জন্য রাজ্য়ের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে মন্তব্য় করেছে রাজ্য বিজেপি।
শুক্রবার দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে মেহবুবা বলেন, তাঁর দল এবং অন্য রাজনৈতিক দলগুলি যাবতীয় ঝুঁকি নিয়েই জম্মু ও কাশ্মীরে জাতীয় পতাকা বহন করে। একই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য ছিল, সংবিধানের ৩৫-এ ধারা বাতিল করলে সে রাজ্যে জাতীয় পতাকা ধরার কেউ থাকবে না।
জোটসঙ্গী পিডিপি নেত্রীর এই মন্তব্য যে তারা ভালভাবে দেখছে না, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে বিজেপি। জম্মু ও কাশ্মীরের বিজেপি মুখপাত্র বীরেন্দ্র গুপ্ত বলেছেন, মেহবুবার মন্তব্যে তাঁরা হতবাক। বিজেপি মুখপাত্র বলেছেন, ভারতীয় সংবিধানে সাময়িকভাবে ৩৭০ ধারা যুক্ত করা হয়েছিল। সংবিধানের ৩৫-এ ও ৩৭০ ধারা কোনও পবিত্র গরু নয় যে হাত দেওয়া যাবে না। এই দুটি ধারার চেয়ে সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
জম্মু ও কাশ্মীরে বিজেপি-র প্রধান মুখপাত্র সুনীল শেঠি বলেছেন, সংবিধানের ৩৫-এ ধারা নিয়ে মেহবুবা যে মন্তব্য করেছেন, সেটা ঠিক নয়। তিনি রাজনৈতিকভাবে ভুল মন্তব্য করেছেন। এই ধারার ফলে উপত্যকায় বৈষম্য তৈরি হয়েছে। একইসঙ্গে অন্যান্য রাজ্যগুলি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর। প্রাকৃতিক সম্পদ থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নতি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
শুক্রবার মেহবুবার ওই মন্তব্যের পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। মন্তব্য করেন বলিউড অভিনেতা সানি দেওলও।
संविधान से हुई छेड़छाड़ तो कश्मीर में नहीं बचेगा कोई तिरंगा थामने वाला- महबूबाhttps://t.co/ixY2Ps4acU#jammukashmir
— Sunny Deol (@SirSunnyDeol) July 29, 2017