করোনা বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেফতার বিজেপির তেলেঙ্গানা রাজ্য সভাপতি বান্দি সঞ্জয় কুমার
গ্রেফতার বান্দি সঞ্জয় কুমার
তেলেঙ্গানায় ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি বান্দি সঞ্জয় কুমারকে গ্রেফতার করল সেই রাজ্যের পুলিশ। তেলেঙ্গানা রাজ্যের কেসিআর সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। রবিবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করার পরেই শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক তরজা।
বিজেপি সভাপতি গ্রেফতার
গোটা দেশ জুড়ে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সরকারের করোনা বিধি লঙ্ঘন করায় তেলেঙ্গানা বিজেপির সভাপতি বান্দি সঞ্জয় কুমারকে রবিবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করেছে রাজ্য পুলিশ। গত ডিসেম্বরে রাজ্যের করোনা বিধি অমান্য করে করিম নগরে ১০ ঘন্টা ধরে প্রতিবাদ শুরু করেছিলেন তিনি। মূলত বিজেপির তেলেঙ্গানা রাজ্য সভাপতি করিমনগরে ১০ ঘন্টার 'জাগরন দিশা ' নাম দিয়ে এক বিক্ষোভ করছিলেন, ক্ষমতাসীন টিআরএস কর্তৃক বলবৎ ধারা (জিও) ৩১৭ প্রত্যাহার করার দাবিতে। আর সেখানেই রাত্রিকালীন করোনা নির্দেশিকা অমান্য করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে খবর।
সভাপতি গ্রেফতারে তরজা
তেলেঙ্গানায় ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি বান্দি সঞ্জয় কুমারকে গ্রেপ্তার করার সময় পুলিশের বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্থা করার অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকি তাঁকে রীতিমত টেনেহিচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই সময় তোলা একটি ভিডিও সামনে এসেছে। আর বিজেপি নেতা এবং সমর্থকরা ব্যাপকভাবে এই ভিডিওটি শেয়ার করছেন। ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতেও পোস্ট করেছেন তাঁরা। বান্দি সঞ্জয় কুমারের গ্রেফতারের ঘটনার প্রতিবাদে নিন্দা জানিয়েছে বিজেপি। টিআরএস স্বৈরাচারী ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করেছেন পদ্ম শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
টিআরএস-এর দাবি
তেলেঙ্গানার খাদ্য ও নাগরিক সরবরাহ এবং কনজিউমার বিষয়ক মন্ত্রী গাঙ্গুলা কমলাকারের দাবি, কেন্দ্র করোনা প্রতিরোধ করতে যেসকল নিয়ম বিধি চালু করেছে, সেই নিয়ম ভেঙেছেন বান্দি সঞ্জয় কুমার। সেই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিজেপির পাল্টা অভিযোগ
বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বান্দি সঞ্জয়কে গ্রেফতারের জন্য টিআরএস সরকারের নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন,এই ঘটনা গণতন্ত্রের হত্যা। তেলেঙ্গানার বিজেপি সভাপতি মিঃ সঞ্জয় সমস্ত কোভিড প্রোটোকল অনুসরণ করে নিজের অফিসে যখন শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছিলেন,তখন রাজ্যপুলিশ নিজের শক্তি প্রয়োগ করে তাঁকে গ্রেফতার করেছেন। রাজ্য সরকারের এই ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়।যেই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সমস্ত আইনি ব্যবস্থা নেব।হুজুরাবাদের সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে বিজেপির জয়ের পর এই জাতীয় ঘটনা ইচ্ছে করে করেছে টিআরএস । এই লড়াই চলবে।