তাঁর সঙ্গেই আছে ৫৪ বিধায়কের সমর্থন, দাবি অজিত পাওয়ারের! সুপ্রিম কোর্টে ৩ চিঠি পেশ
তিনিই এনসিপির পরিষদীয় দলের নেতা। তাঁর সঙ্গেই রয়েছে ৫৪ জন বিধায়কের সমর্থন। ২২ নভেম্বর লেখা চিঠিতে এমনটাই দাবি করেছিলেন অজিত পাওয়ার।
তিনিই এনসিপির পরিষদীয় দলের নেতা। তাঁর সঙ্গেই রয়েছে ৫৪ জন বিধায়কের সমর্থন। ২২ নভেম্বর লেখা চিঠিতে এমনটাই দাবি করেছিলেন অজিত পাওয়ার। চিঠি দিয়েছিলেন বিজেপিকে। সেই চিঠি বিজেপি দিয়েছিল রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারিকে। এদিন সেই চিঠিই সুপ্রিম কোর্টে পেশ করে কেন্দ্র। সঙ্গে আরও ২ চিঠি পেশ করা হয়।
বিজেপিকে সমর্থনের অজিত পাওয়ারের চিঠি রাজ্যপালের কাছে
বিজেপিকে সমর্থনের এনসিপি পরিষদীয় নেতা অজিত পাওয়ারের চিঠি পৌঁছে গিয়েছিল রাজ্যপালের কাছে। সুপ্রিম কোর্টে সরকারের দেওয়া ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, রাজ্যপাল সরকার গঠনের জন্য বেশ কয়েকদিন অপেক্ষা করেছেন। এরপরেই তিনি বিজেপিকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু বিজেপি জানায়, তারা সরকার গঠন করতে পারবে না। এরপর রাজ্যপাল শিবসেনাকে ডাকেন। তারাও জানিয়ে দেয় সরকার গঠন করার মতো জায়গায় তারা নেই। এরপর এনসিপিও একই কথা জানায়। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে সরকার।
সুপ্রিম কোর্টে পেশ চিঠি
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এদিন ফড়নবিশকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণের চিঠি পেশ করেন সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট কি রাজ্যপালের বিকল্প, সলিসিটর জেনারেল প্রশ্ন করেন।
২২ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহারের সুপারিশ
সলিসিটর জেনারেল আরও বলেন, রাজ্যপাল ২২ নভেম্বর রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেওয়ার সুপারিশ করেন। আৎ পরের দিন সকালে অর্থাৎ ২৩ নভেম্বর রাজ্যপাল কোশিয়ারি দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে সরকার গঠনের জন্য চিঠি লেখেন।
সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যপালের ব্যাখ্যা
সুপ্রিম কোর্টে এদিন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের তরফে জানানো হয়েছে, তিনি যে চিঠি পেয়েছিলেন তাতে, দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন জানানোর ইঙ্গিত ছিল।
সুপ্রিম কোর্টে তিন সদস্যের বেঞ্চে মহারাষ্ট্র নিয়ে শুনানি চলছে।