কমিউনিস্ট মুক্ত ভারতের ডাক! কেরলের সোনা পাচার কাণ্ডে বিজয়নের পদত্যাগ চেয়ে সত্যাগ্রহ বিজেপির
ভারতে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরশাহির আধিকারিকদের কয়েকজনকে ব্যবহার করে ২৩০ কেজি সোনা পাচার করা হয়েছিল কেরলে৷ গত বছর জুলাই থেকে পাচার চলছিল বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা৷ মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের একাধিক অফিসারের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পরই অস্বস্তিতে পড়ে পিনারাই বিজয়ন সরকার। আর এবার বিজয়নের পদত্যাগ দাবি করে ১৮ দিনের সত্যাগ্রহ শুরু করল বিজেপি।
কমিউনিস্ট সরকার করেলের মানুষকে লুঠ করছে
এই বিষয়ে বিজেপির বক্তব্য, 'মুখ্যমন্ত্রীর অফইসের একাধিক জন এই পাচার কাণ্ডে যুক্ত। মুখ্যমন্ত্রীর থেকে আমরা জবাব চাই। এনআইএ স্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছে যে এই সোনা পাচারের টাকায় সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া হত। কমিউনিস্ট সরকার করেলের মানুষকে লুট করছে। এভাবেই বাংলা ও ত্রিপুরাকেও লুট করেছিল কমিউনিস্টরা।'
আমিরশাহির দূতাবাসের সাহায্যে সোনা পাচার
৫ জুলাই তিরুবনন্তপুরমে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দূতাবাসের ঠিকানা লেখা একটি পার্সেলের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় ৩০ কেজি সোনা৷ সেই সোনা পাচারের ঘটনায় নাম জড়িয়ে পড়তে শুরু করে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দফতরের৷ ৯ জুলাই ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে৷ এনআইএ এরপর ১০ জুলাই এফআইআর নথিভুক্ত করে৷
গ্রেফতার বিজয়নের দফতরের আধিকারিকরা
এফআইআর নথিভুক্ত হওয়ার ঠিক একদিনের মধ্যে (১১ জুলাই) সোনা পাচারের ঘটনায় অন্যতম দুই মূল অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশ ও সন্দীপ নায়ারকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ৷ তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরের কাস্টমস বিভাগের তরফে জানানো হয়েছিল, কেরালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দূতাবাসের প্রাক্তন কর্মী স্বপ্না সুরেশের নামে ওই ব্যাগ ছিল৷ সংবাদমাধ্যমের একাংশে প্রকাশ, তিনি কেরল সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরেও চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে কর্মরত৷ প্রসঙ্গত, এই দফতর সরাসরি বিজনেরই অধীনে। তবে ঘটনার সঙ্গে কেরল সরকারের কোনও যোগ নেই বলে বার বার জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন৷ তবে এরপরই এই ঘটনায় গ্রেফতার হন মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের অফিসের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এম শিবশঙ্করকে।
পুলিশ বদলি নিয়ে নয়া বিতর্ক
এদিকে কেরলে সোনা পাচারকাণ্ডে তদন্ত চলাকালীন শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকদের বদলি ঘিরে নয়া বিতর্ক তৈরি হয়। সম্প্রতি ৬ সুপারিনটেনডেন্ট ও ২ ইন্সপেক্টরের বদলির নির্দেশ জারি হয়। তাঁদের পোস্টিং ছিল কোচিতে। উল্লেখ্য শুল্ক দপ্তরের এই কোচি ইউনিটই প্রথম সোনা পাচারকাণ্ডের পরদা ফাঁস করেছিল। সোনা পাচারকাণ্ডে জড়িত এমন কাউকে রেয়াত করা হবে না বলে বিজয়ন সরকার বললেও এই তদন্তকারী আধিকারিকদের বদলি নিয়ে দানা বাধে নয়া বিতর্ক। যদিও কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে আপাতত আটকানো হয়েছে বদলি।