লক্ষ্য দুই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী 'নির্বাচন', নির্বাচিত বিধায়কদের মন বুঝতে এমনই পদক্ষেপ বিজেপির
গুজরাত ও হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করতে দুই রাজ্যে পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। সোমবার বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গুজরাত ও হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করতে দুই রাজ্যে পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। সোমবার বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে। হিমাচলের সুজানপুর থেকে হারের পর্যালোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী প্রেমকুমার ধুমল।
কষ্টার্জিত এবং কাঙ্খিত জয় এসেছে গুজরাত ও হিমাচল প্রদেশে। এবার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের পালা। সেই নির্বাচন করতেই দুই রাজ্যে দুটি পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির নেতৃত্বে একটি দল যাচ্ছে গান্ধীনগরে। দলে থাকছেন দলের জেনারেল সেক্রেটারি সরোজ পাণ্ডে। সিমলার দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সেই দলে থাকছেন গ্রামীণ উন্নয়নমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। দুটি দল দুই রাজ্যে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন। সেন্ট্রাল পার্লামেন্টারি বোর্ডের বৈঠকের পর এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং দলের সভাপতি অমিত শাহর রাজ্যে এনিয়ে পরপর পাঁচবার জয় পেল বিজেপি। অন্যদিকে, হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে।
হিমাচল প্রদেশে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী প্রেমকুমার ধুমল হেরে গিয়েছেন। তবে উনার কুটলেহার থেকে নব নির্বাচিত বিজেপি বিধায়ক বারিন্দার কানোয়ার নিজের আসন ধুমলের জন্য ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে ধুমলকেই য়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করা হবে, এমন কোনও ইঙ্গিত এখনও দেয়নি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
বছর ৭৩-এর দুবারের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমকুমার ধুমল নিজের বাড়ির এলাকা হামিরুর থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছের কথা জানালেও, দলের সিদ্ধান্তে সুজানপুর থেকে দাঁড়ানোতে বাধ্য হন। কিন্তু সুজানপুর থেকে হেরে যান তিনি। ধুমলের সমর্থকদের অভিযোগ, দলের তরফে অন্য কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করতেই অন্য আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পাঠানো হয়েছিল ধুমলকে। যদিও বিষয়টি নিয়ে ধুমল নিজে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। ধুমল বলেছেন, নিজের পরাজিত হওয়াটা খুব একটা বড় বিষয় নয়, রাজ্যে দল নির্বাচনে জিতেছে, সেটাই বড় কথা। তবে হারের পর্যালোচনা তিনি করবেন বলে জানিয়েছেন ধুমল।
অন্যদিকে, গুজরাতের রাজকোট পশ্চিম আসন থেকে জয়ী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। এই আসনটি বরাবরই বিজেপির পক্ষে নিরাপদ আসন বলেই মনে করা হয়। এই আসন থেকেই ২০০২ সালের নির্বাচনে জিতে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী।