
সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করার অঙ্গীকার, গুজরাতে বিজেপির ইশতেহারে শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর বিশেষ জোর
শুক্রবার গুজরাত নির্বাচনে ইশতেহার প্রকাশ করল বিজেপি। বিজেপির ইশতেহারে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং রাজ্য পার্টির সভাপতি সিআর পাটিল উপস্থিত ছিলেন। বিজেপি ইশতেহারে আগামী পাঁচ বছরে গুজরাতে ২০ লক্ষ যুবককে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইউনিফর্ম সিভিল কোড কমিটির সুপারিশের তা বাস্তবায়িত করা হবে।

গুজরাতে বিজেপির ইশতেহার প্রকার
শুক্রবার বিজেপির ইশতেহারে জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেন, ভারতে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন, ভারত বিরোধী শক্তির স্লিপার সেল চিহ্নিত করা হবে। এবং তা নিশ্চিহ্ন করা হবে। বিজেপি সভাপতি বলেন, দল যদি ফের গুজরাতের ক্ষমতায় আসে, সেক্ষেত্রে সরকারি সম্প্রত্তির ক্ষতি সংক্রান্ত একটি আইন তৈরি করতে হবে। যদি অসমাজিক উপায়ে সরকারি বা ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষতি করা হলে, ক্ষতিপূরণ আদায় সংক্রান্ত আইন তৈরি করা হবে। মূলত যাদের কারণে সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে, তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে। গুজরাতের উন্নয়নের জন্য বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। গুজরাতের অর্থনীতিকে এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমান করা হবে।

বিজেপির ইশতেহারে বিজেপির ওপর জোর
বিজেপি ইশতেহারে আগামী পাঁচ বছরে গুজরাতের এক লক্ষ মহিলাদের চাকরি নিশ্চিত করবে। আগামী পাঁচ বছরে ১০,০০০ কোটি টাকার বাজেটে ২০,০০০ সরকারি স্কুলকে স্কুল অফ এক্সিলেন্সে রূপান্তরিত করা হবে। গুজরাতের প্রতিটি নাগরিকের জন্য পাকা ঘর নিশ্চিত করা হবে। প্রধানমন্ত্রী অবাস যোজনা সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত করা হবে। গুজরাতের প্রতিটি নাগরিককে একটি বিশেষ কার্ড দেওয়া হবে। যার মাধ্যমে গুজরাতের প্রতিটি নাগরিক যাতে সরকারের বিভিন্ন কল্যানমূলক প্রকল্পের অংশীদার হতে পারে তা নিশ্চিত করা হবে। আইআইটির আদলে চারটি গুজরাত ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি তৈরি করা হবে।

নির্বাচনে বিজেপির জোর প্রচার
গুজরাতে দুই দফায় বিধানসভা নির্বাচন। গুজরাতে ১ ও ৫ ডিসেম্বর নির্বাচন হবে। ৮ তারিখে গুজরাতে হিমাচল প্রদেশের সঙ্গে ভোটগণনা হবে। গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ও কংগ্রেস জোর কদমে প্রচার শুরু হয়েছে। শনিবার অমিত শাহের গুজরাতের দাঙ্গা জায়গা করে নিয়েছে। অমিত শাহ বলেন, গুজরাত দাঙ্গার সঙ্গে যুক্ত প্রধান অভিযুক্তরা কঠোর শাস্তি পেয়েছেন। তাঁদের সকলকে জেলে ঢোকানো হয়েছে। গুজরাতে কংগ্রেসের রাজত্ব কালে সাম্প্রদায়িক হিংসা ও উসকানি লেগে থাকত। কিন্তু গুজরাত দাঙ্গার পর রাজ্যে আর কারফিউ জারি করা হয়নি। গুজরাতে উন্নয়ন হয়েছে।

গুজরাত নির্বাচনে আপের প্রচার
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জোর প্রচার শুরু করেছেন গুজরাতে। গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারের জন্য রাহুল গান্ধী সাময়িকভাবে তাঁর ভারত জোড়ো যাত্রা স্থগিত করছেন। অন্যদিকে, গুজরাত নির্বাচনে জোর কদমে প্রচার শুরু করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আপ এবার গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিটি আসনে প্রার্থী দিয়েছেন। গুজরাত নির্বাচনে আপ নিজেদের বিজেপির প্রধান বিরোধী বলে দাবি করছেন।
নোটবন্দি ইস্যুতে শুনানির অর্থ ঘড়ির কাঁটার উল্টোদিকে হাঁটা, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র