মহারাষ্ট্রে ৭০০-রও বেশি জনসমাবেশ, রেকর্ড বিজেপির
রাজ্য বিজেপি সভাপতি দেবেন্দ্র ফাডনিসের কথায়,নির্বাচনের প্রচারে রাজ্যজুড়ে মোট ৭১৫ টি জনসভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। যার মধ্যে ২৭ টি সভায় বক্তৃতা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ১৭ টি সভায় বক্তব্য রেখেছিলেন। ফাডনিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি নিজে ৬০টি জনসভায় অংশ নিয়েছেন। রাজ্যে বিভিন্ন সভায় কমপক্ষে ১০ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং ৪ বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীও অংশ নিয়েছেন।
বিজেপির পাশাপাশি অন্যান্য দলগুলির জনসমাবেশের তথ্যও পাওয়া গিয়েছে। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী মহারাষ্ট্রে মোট ৪ টি জনসভায় অংশ নিয়েছেন। সেখানে তাঁর ছেলে তথা কংগ্রেসের সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী ৪ থেকে ৬ টা সমাবেশে অংশ নিয়েছেন। এনসিপি দলের সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার, তাঁর মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে, অজিত পাওয়ার প্রত্যেকেই সর্বশক্তি নিয়ে নেমে পড়েছেন কংগ্রেসকে টেক্কা দিতে।
অন্যদিকে শিবসেনা বিজেপির জোট থেকে বেরিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রাক্তন বাল ঠাকরের নামেই এবার ভোট জয়ের স্বপ্ন দেখছে। অন্যদিকে উন্নয়নকে হাতিয়ার করে ভোটপ্রার্থনা করছেন এমএসএন প্রধান রাজ ঠাকরে।
এবারের বিধানসভা ভোটে সংখ্যালঘু প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে অনেকটাই। ২০০৯ সালের বিধানসভা ভোটে যেখানে মুসলিম প্রার্থী ছিলেন ১৯ জন সেখানে এবছর তা বেড়ে হয়েছে ৪৫। ১৩৫৬ টি দলের প্রায় ৪ হাজার প্রার্থীর ভাগ্য পরীক্ষা হবে আগামীকাল। যাদের মধ্যে থেকে প্রায় সাড়ে আট কোটি জনতা ভোটাধিকার প্রয়োগ করে ২৮৮ জন প্রতিনিধিকে বেছে নেবেন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে এবারের ভোটে মহিলা ভোটারদের সংখ্যা ৪,৪০, ৩৬,৪০১ এবং পুরুষ ভোটারদের সংখ্যা ৩,৯৩,৬৩,০১১।