বিজেপি উৎসাহী নয় মধ্যপ্রদেশের সরকার উৎখাতে ! শিবরাজের 'টিপ্পনি' কংগ্রেসের সংকটের মুহূর্তে
মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকারের উপর যখন সংকটের মেঘ তখন মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে বিজেপিতে যোগদানে জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। এদিন , সকাল থেকেই এমন খবর রটে যায় যে সম্ভবত মোদীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন জ্যোতিরাদিত্য। আর তার আগে থেকেই জ্যোতিরাদিত্য যে বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন , তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশ বিজেপির নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের বক্তব্য ঘিরে প্রবল জল্পনা তৈরি হয়েছে।
কংগ্রেসের সংকট ও বিজেপির টিপ্পুনি!
মধ্যপ্রদেশে হোলির দিন সকাল থেকেই যখন কংগ্রেস সরকারের শিবিরের মুখভার। তখন টিপ্পুনি কাটতে ছাড়ছেন না মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। তিনি বলেন , গোটা বিষয়টিই কংগ্রেসের অন্তবর্তী বিষয়। আর তা নিয়ে তিনি কোনওই মন্তব্য করতে চাননি।
'সরকার ফেলায় উৎসাহী নই'
শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, তাঁরা প্রথম দিন থেকেই জানিয়ে এসেছেন যে সরকার উৎখাতে তাঁরা কোনও মতেই উৎসাহী নন। উল্লেখ্য, সূত্রের খবর ছিল যে গত ২৯ ফেব্রুারি থেকেই সিন্ধিয়া শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে বিজেপি। মধ্যপ্রদেশে জ্যোতিরাদিত্য বনাম কমলনাথের ঠান্ডা লড়াইয়ের মধ্যে বিজেপি নেতাদের এমন সংযোগ স্থাপন নিঃসন্দেহে একটি বড় ঘটনা।
ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না জ্যোতিরাদিত্য়কে!
এদিকে, ফোনে পাওয়া যাচ্ছেন জ্যোতিরাদিত্যকেও। ফোন সুইচড অফ রয়েছে বেঙ্গালুরুর একটি বিলাসবহুল বাংলোতে থাকা কংগ্রেসের 'নিখোঁজ' হওয়া ১০ বিধায়ক। মনে করা হচ্ছে, সিন্ধিয়া শিবিরে এই মুহবর্তে ১৭ বিধায়ক রয়েছেন। আর তাঁরা সকলেই বিজেপিতে যোগদিতে চলেছেন।
২৯ ফেব্রুয়ারি কী ঘটেছিল?
জানা যায়, গত ২৯ ফেব্রুয়ারিই বিজেপি ঠিক করে ফেলে যে মধ্যপ্রদেশ ফের একবার দখলে নিয়ে নিতে হবে। তার আগে সদ্য দিল্লি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে পদ্ম শিবির। এরপর ২৯ ফেব্রুয়ারি জেপি নাড্ডা বৈঠকে বসেন মধ্যপ্রদেশের পূর্ব মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ও বিডি শর্মার সঙ্গে। আর সেদিনই ব্লুপ্রিন্ট তৈরি হয়ে যায় মধ্যপ্রদেশ দখলের ছক।
বাবার জন্মদিনের দিনে জ্যোতির বিজেপিতে যোগ!
সিন্ধিয়া রাজবংশের সন্তান তথা জ্যোতিরাদিত্যর বাবা মাধব রাও সিন্ধিয়া ছিলেন কংগ্রেসের দাপুটে নেতা । তাঁর জন্মদিন আজ। মনে করা হচ্ছে, বাবার জন্মদিনের দিনই মধ্যপ্রদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলতে পারেন জ্যোতিরাদিত্য। বাবার জন্মদিনের দিনই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে জ্যোতিরাদিত্য যোগ দিতে পারেন।